লন্ডন: শেষবার ২০১১ আর্সেনালের কাছে ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৫ গোল হজম করেছিল চেলসি। এক দশক পর এসে সেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আবার ৫ গোল খেল ব্লুজ’রা। তবে এবার অবনমনের গেরোয় থাকা দলের কাছে। শনিবার ওয়েস্ট ব্রমউইচের কাছে ২-৫ গোলে হেরে থমাস টাচেল জমানায় প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল চেলসি।

গত জানুয়ারিতে লন্ডনের ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার পর সবধরনের প্রতিযোগীতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিলেন টাচেল। লিগ টেবিলে ১৯ নম্বরে থাকা দলের কাছে অবাক হারে অপরাজিত তকমা ঘুচল জার্মান কোচের। ঊরুর চোট সারিয়ে দীর্দিঘন পর মাঠে ফিরেছিলেন চেলসি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। আর প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই লাল কার্ড দেখে খলনায়ক ব্রাজিলিয়ান। ম্যাচের ২৯ মিনিটে এদিন লাল কার্ড দেখেন সিলভা। তখন ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে ব্লুজ’রা।

ঠিক দু’মিনিট আগে গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। মার্কাস আলোন্সোর ফ্রি-কিক পোস্টে প্রতিহত হলে ফিরতি বল জালে ঠেলে দেন মার্কিন ফুটবলার। এরপরেই সিলভাকে মার্চিং অর্ডার দেন রেফারি। সংখ্যাতত্ত্বে পিছিয়ে পড়ে এরপর ওয়েস্ট ব্রমউইচের কাছে পিছু হটতে শুরু করে টাচেলের ছেলেরা। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়েই জোড়া গোল তুলে নিয়ে ঘরের মাঠে চেলসিকে চাপে ফেলে দেয় অবনমনের আওতায় থাকা দলটি। চেলসির রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দু’টি গোলই করেন মাথেউস পেরেরা। ওয়েস্ট ব্রমউইচের একটি প্রচেষ্টা ক্রসবারেও প্রতিহত হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলোন্সোর একটি প্রয়াস পোস্টে প্রতিহত না হলে চেলসি সমতায় ফিরতে পারত। কিন্তু ৬৩ মিনিটে ডানপ্রান্তিক ক্রস থেকে ক্যালাম রবিনসনের দুরন্ত ভলি চেলসির জালে ফের জড়িয়ে যেতেই ম্যাচ মুঠোয় পুড়ে নেয় ওয়েস্ট ব্রমউইচ। তবে ১০ জনের চেলসিকে নিয়ে তাদের ছেলেখেলা তখনও শেষ হয়নি। ৬৮ মিনিটে চেলসির রক্ষণ ভেঙে স্কোরশিটে নাম তোলেন এমবায়ে দিয়ানে। তিন মিনিট বাদে ওয়ের্নারের অ্যাসিস্ট ধরে পরিবর্ত ম্যাসন মাউন্ট চেলসির হয়ে একটি গোল শোধ করলেও তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

এরপর সংযুক্তি সময়ে নিজের দ্বিতীয় এবং চেলসির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন ক্যালাম রবিনসন। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে পাঁচ গোলের বৃত্ত সম্পন্ন হয় ওয়েস্ট ব্রমউইচের। এই হারের ফলে লিগ টেবিলে চারে থাকা চেলসি ৩০ ম্যাচ পর দাঁড়িয়ে রইল ৫১ পয়েন্টেই। অন্যদিকে ২১ পয়েন্টে পৌঁছনো ওয়েস্ট ব্রমউইচের অবস্থান পরিবর্তন না হলেও বাকি ম্যাচগুলিতে এই জয় আত্মবিশ্বাস আনতে পারে কীনা, সেটাই দেখার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।