খানাকুল, হুগলি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী দলের কর্মীদের প্রতি ভরসা রাখতে পারছেন না? না হলে খানাকুল থেকে সভা করে রবিবার তিনি কেন বললেন, বিজেপি-র কাছে নিজেদের বিক্রি করে দেবেন না। যারা এটা করবে সেটা আমার নজরে এসে যাবে।ভয় দেখলে ন্যাকা কান্না কাঁদবেন না। পর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরণের মন্তব্যে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, তাহলে কী দলের কর্মীদের ওপর ভরসা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভা থেকে বলেন, “নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে বিহার, উত্তরপ্রদেশের গুণ্ডারা এলাকায় এলাকায় ঢুকে গুণ্ডামো করবে। আমি দলের এজেন্টদের বলছি, ন্যাকা কান্না কাঁদলে চলবে না। বিজেপি, পুলিশের পোশাক পড়া গুণ্ডারা ভয় দেখলে রুখে দাঁড়ান। দরকারে কন্যাশ্রী, যুবদের দায়িত্ব দিন। যে ভালো কাজ করবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী কী দলের কর্মীদের সন্দেহ করছেন? কেননা শনিবার, তার আগের দিন তিনি বলেছেন , “২০০-র বেশি আসন না পেলে গদ্দারগুলোকে বিজেপি কিনে নেবে। আবার রবিবার খানাকুল থেকে দলের নির্বাচনী এজেন্টদের বললেন, “নিজেকে বিজেপি-র কাছে বিক্রি করে দেবন না। ভয় দেখলে ন্যাকা কান্না কাঁদবেন না। যারা নিজেদের বিক্রি করে দেবেন আমার নজরে কিন্তু সব ধরা পড়বে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথায় রাজনৈতিক মহলের ধারণা তৃণমূলনেত্রী কিছুটা চিন্তায় আছেন, তাই এসব বলছেন দলের কর্মীদর। অথচ এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার সময় বলেছেন, “দলের কর্মীরাই আমার সম্পদ, যারা গেছে তারা গদ্দার।”

হুগলির খানাকুলের সভা থেকে ভোটের মুখে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে রদবদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানান । তাঁর অভিযোগ, “আমাদের অফিসারদের নির্দেশ দিচ্ছেন কেন? আমিও তাহলে এবার বিজেপি-র মতো করবো। আমাদের পুলিশ ভয় পে কেন?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার তাঁর ভাষণে বুঝিয়ে দেন, নির্নবাচন কমিশন বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে চলছে। যদিও এই কথা আগেও তিনি বলেছেন। মমতা বন্দ্যআগেও এই একই অভিযোগ করেছেন বিজেপি ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কালও চারজন পুলিশ অফিসারকে বদলি করেছে। এসব করছে অমিত শাহ। অফিসার বদল করলেই সব হয়ে যাবে? যারা কাজ করলো না, তারা এর পর বিজেপি-র সঙ্গে কাজ করবে। কদিন করবে? বড়জোর আর এক মাস, তারপর?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বলেন, “দিল্লিতে আমাদের রাজ্যের অফিসারদের অপমান করেছে দিল্লির সরকার। আমি তখন তাদের আসে ছিলাম।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ” তোমাদের সরকার আসবে? বিজেপি রাজ্যে আগে ৫০টি আসন পাক, তার পর সরকার করবে। কত আসনে জামানত জব্দ হবে জানে না। তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে । তাহলেই কন্যাশ্রী, বিনাপয়সায় রেশন, স্বাস্থ্যসাথী সব বাড়ি বসে পাবেন।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।