১৭ ফেব্রুয়ারি বিস্ফোরণ
১৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণ আহত হন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সঙ্গে আহত হয়েছিলেন আরও ২১। কলকাতায় আসার গাড়ি ধরতে তিনি নিমতিতা স্টেশনে ঢুকছিলেন। সেই সময় বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে কলকাতায় এনে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই ঘটনায় এখনও চিকিৎসাধীন রাজ্যের মন্ত্রী। সিআইডি তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে সুতির বাসিন্দা আবু সামাদ এবং শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
এনআইএ-র হাতে তদন্তভার
২ মার্চ বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। ধৃত শহিদুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নথির পাশাপাশি বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উদ্ধার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তল্লাশি চলে ঝাড়খণ্ডেও। এনআইএ সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণে আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, মন্ত্রী স্টেশনে আসবেন, সেই মতো আবু সামাদ প্ল্যাটফর্মে বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ রেখে দিয়েছিল।
ইমানি বিশ্বাসকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ
এই ঘটনায় এনআইএ ১৮ মার্চ ইমানি বিশ্বাসকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারীরা। একটা সময়ে কংগ্রেসী রাজনীতি করলেও ২০১৬-র নির্বাচনে ইমানি বিশ্বাস সুতি থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েও পরাজিত হয়েছিলেন।
ইমানি বিশ্বাসকে ফের নোটিশ
বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইমানি বিশ্বাসসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফের নোটিস পাঠিয়েছে এনআইএ। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী জাকির হোসেন এবং ইমানি বিশ্বাস দুজনেই ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা এবং দুজনেই বিড়ি কারথানার মালিক। দুজনের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। তবে এসম্পর্কে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এর পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন। অপম একটি অংশ আবার তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে খারাপ সম্পর্ক এবং ব্যবসায়িক রেষারেষিকেও দায়ী করেছেন।