কলকাতা: দলের অন্দরেই কলহ। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর যারা প্রথমে খুব উৎসাহ নিয়ে দলে যোগদান করেছিল তাদের ভেতর থেকেই এবার উছল আওয়াজ। অনেকদিন ধরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির কিছু বিশেষ বক্তব্য চর্চায় আছে। কিন্তু এবার তো তিনি প্রকাশ্যে কার্যত হুমকি দিলেন বাংলার শিল্পীমহলকে। অথচ মজার ব্যাপার সেই দলেই এ বছর বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে দলে দলে অভিনেতা অভিনেত্রীরা যোগদান করেছে।

প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে টেলিপাড়ার কিছু মুখ এ বছর যোগ দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত আর চেরি অন দ্য টপ, মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু এর আগেই যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিল তাদের তালিকায় ছিলেন পার্নো মিত্র, রূপাঞ্জনা মিত্র মতন জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা। এর আগেও দিলীপ ঘোষের বিশেষ কিছু নারী বিদ্বেষী কটুক্তি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে তিনি থামার পাত্র নন। তাই হাজার যুক্তি-তক্কো এবং গল্পের পরেও তিনি তার সেই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় থেকেছেন।

এবার তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দাগলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী মহলের দিকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন,’অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এলে রগড়ে দেব।’ তার এই বক্তব্যতে অত্যন্ত বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিজেপিতে যোগদান করা অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যকে নিশানা করে তিনি কার ফেসবুক পেজে লিখলেন,’আজ শিল্পী হয়ে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। রং মাখি বলে আমাদের এভাবে অপমান করা হবে? ‘রগড়ে’ দেওয়া হবে আমাদের পরিশ্রম। আমাদের নিজেদের কাজের প্রতি সততা নিষ্ঠাকে অসম্মান করা হবে? না ন্যাকামি করছি না। আমার বিজেপি কর্মী-শিল্পীদেরও বলছি, কাপুরুষ হবেন না। সবকিছুর সীমা রয়েছে! আমি এইরকম অসম্মানজনক আচরণকে সমর্থন করি না।’

এর পাশাপাশি রূপাঞ্জনা আরেকটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি দিলীপ ঘোষের লড়াইকে সমর্থন জানান কিন্তু যারা দলে থেকে শিরদাঁড়া না বেঁকিয়ে পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে অসম্মান করাকে তিনি কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবেন না। অন্যদিকে আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে লেখেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্র ও মিউজিক ফ্র্যাটারনিটির বিজেপি দলের সদস্য এবং সমর্থকরা, দয়া করে আপনার শ্রদ্ধেয় নেতা শ্রী দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করতে পারেন ?’

 

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।