তৃণমূল প্রার্থীর দলবদলের ইতিহাস
২০১৬-তে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সময় বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান। পরবর্তী সময়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু বিজেপির কাছে হেরে যান।
মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েই অন্য সুর
কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে এবার রায়গঞ্জ বিধানসভা আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তিনি মনোনয়ন পত্র জমে দেন। মনোনয়ন পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেই সময় তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হয়, যদি তিনি জেতেন আর সরকার যদি অন্যদলের হয়, তাহলে কী করবেন। সেই সময় তৃণমূল প্রার্থী বলেন, রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবেন। যাঁরা ভোট দিয়ে জেতাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াটা জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেছেন, গতবারে ইসলামপুর থেকে জয়লাভের পরে ভোটদাতাদের সঙ্গে কথা বলেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপরেই তৃণমূল প্রার্থীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিজেপির কটাক্ষ
তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেছেন, তৃণমূল প্রার্থী বুঝে গিয়েছেন, জিতছেন না। সেই কারণে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বলছে, তৃণমূল প্রার্থীর দলবদলের ইচ্ছা রয়েছে। তাহলে মানুষ কেন তাঁকে ভোট দেবেন।
কটাক্ষ বাম-কংগ্রেসের
কটাক্ষ করেছেন রায়গঞ্জের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিক কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, এই ধরনের লোক নিয়েই তৃণমূল তৈরি। এঁরাই হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় গদ্দার। এঁরাই হচ্ছে দলবদলু, কাটমানিখোর আর স্বার্থান্বেষী। রায়গঞ্জের মানুষ এইঈ ধরনের মানুষকে যোগ্য জবাব দেবেন বলে মনে করেন তিনি। অন্যদিকে বামদের তরফেই নিশানা করা হয়েছে কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গদ্দারদেরই প্রার্থী করেছেন বলে কটাক্ষ করেছে তারা। পাশাপাশি প্রার্থী তালিকায় এইধরনের লোকেদের রেখে বিজেপিকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে বামেদের তরফে।