সম্ভাবনাই সত্যি হল। সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থীকেই তৃণমূল টিকিট দিল বীরভূমের মুরারইয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এক ফোনেই মত বদল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন মোশারফ হোসেন। বীরভূমের এই কেন্দ্রে নাটকীয়ভাবে প্রার্থী বদলে ফেলল তৃণমূল। করোনা আক্রান্ত হন তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী আবদুর রহমান। তাই তাঁর বদলি হলেন মোশারফ হোসেন।
পেশায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ মোশারফ হোসেন কংগ্রেস প্রার্থী হতে চেয়ে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর এক ফোনেই সব উল্টে গেল। মোশারফ হোসেন জানান, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কথা ঠেলতে পারিনি। তাই তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়ে ফের স্বাস্থ্য দফতরে ছুটির আবেদন করলাম।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান, ঘোষিত প্রার্থী আবদুর রহমান করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাই প্রার্থী বদলের প্রয়োজন পড়েছিল। শনিবার সম্ভাবনাকে সত্যি করে মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা হয়। মোশারফ হোসেন কংগ্রেস আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ছেলে। মোশারফের বাবা চারবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এহেন মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে। আবগুর রহমানের জায়াগয় মোশারফকে প্রার্থী করে তাঁর বাবার পরিচিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এখানে কংগ্রেসের আলি খান তৃণমূলের আবদুর রহমানের কাছে মাত্র ২৮০ ভোটে হেরেছিলেন।
আলি খান পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১-এ প্রার্থী হওয়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল, তৃণমূলও ছিল দুভাগ। অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী হন আসিফ ইকবাল। তাঁকে নিয়ে কংগ্রেসেও ক্ষোভ ছিল। তাই দু-পক্ষই চেয়েছিল মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করতে। শেষপর্যন্ত মোশারফ হোসেন তৃণমূলের প্রার্থী হলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে।