যদি সরকার তৈরি করতে পারি...
আগেকার কয়েক দিনের মতোই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এলেছে যদির কথা। তিনি বলেছেন, যদি সরকার তৈরি করতে পারি তাহলে বাড়ির মহিলা প্রধানদের ৫০০ টাকা থেকে হাজার টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে। ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি যাঁরা এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পাননি, তাও দরজায় পৌঁছে দেওয়া হবে। মে মাস থেকে ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
একের পর এক প্রতিশ্রুতি
এদিনের সভা এছাড়াও একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, তাদের নতুন সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে নতুন স্কুল তৈরির পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করা হবে। আরও মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছেন। তফশিলি ও মহিলাদের বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আম্ফানে কিছু ঘটনা ঘটেছে
আম্ফানের ত্রাণ বিলিতে দু-একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলেও এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি বলেছেন, আম্ফানের দিন তিনি রাত জেগেছিলেন। সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তদারকিও তিনি করেছিলেন। সেই বিজেপির কাউকেই দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেন, আম্ফানের সময় যাঁদের বঞ্চনা করা হয়েছে, তাঁদেরও পরবর্তী সময়ে সাহায্য করা হবে।
তিনি বলেছেন, পদ্ম ফুল পচা। কিন্তু জোড়া ফুল সতেজ। ভাঙা পা নিয়েও তিনি বাংলার মা-বোনেদের জন্য প্রচার করছেন। কেননা তিনি না করলে বিজেপি সব দখল করে নেবে।
ভোটভাগে ফুরফুরা শরিফের চ্যাংড়া
এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের আব্বাস সিদ্দিকিকে এঐক আসনে বসিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফুরফুরা শরিফের এক চ্যাংড়া সাম্প্রদায়িক প্রচার করছেন। ভোট ভাগ করছেন। ওদের একটাও ভোট দেবেন না। তিনি বলেন, এনআরসি, সিএএ না চাইলে, তৃণমূলকেই ভোট দিতে হবে। বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে লোক এনে পুলিশের পোশাক পরিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।