নয়াদিল্লি: গোটা দেশে বিদ্যুতের গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায়। ঠিক সেই সময় এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের আরও বেশি লোককে টিকা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন,এবার ধীরে ধীরে অল্পবয়সীদের টিকাকরণ করতে হবে। যদিও তিনি জানিয়েছে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা অনুসারেই টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন যে, “ভারতবর্ষ অনেক বড় দেশ। আমরা যদি বলি কেন্দ্রের দ্বারা অনুমোদিত ভ্যাকসিন সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে দেওয়া যায় সেক্ষত্রে আরো প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হয়ে পড়বে। সেক্ষত্রে এত ডোজ পাওয়ার উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা অনুসারে প্রাপ্তবয়সীদের টিকাকরণ করতে হবে।”
তবে তিনি বলেছেন যদি ১০ দিন বা এক সপ্তাহ পরে টিকাকরণের প্রবণতা একটু কমে তাহলে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়া যেতে পারে। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী,ইতিমধ্যে ৭ কোটি ৩০ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৯৫ জনের টিকাদান সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০৫।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে ৮৯ হাজার ১২৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ২০২ জন। দেশে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৩.৩৬ শতাংশ।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা মহারাষ্ট্রে। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র। খোদ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.