মঙ্গলবার প্রথমবার হাজিরা
গত নভেম্বরে কয়লাকাণ্ডে তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরে সিবিআই তিনবার নোটিশ পাঠিয়েছিল অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে। সব নাটিশই এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনুপ মাঝি। এরপর তাঁকে হাতে পেতে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় লালাও। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত রক্ষা কবচ পান তিনি। বলা হয় তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করতে হবে লালাকে। এরপর গত মঙ্গলবার প্রথমবারের জন্য সিবিআই দফতরের হাজিরে দেন তিনি।
সিবিআই-এর কাছে কাগজ জমা
গত দিন সিবিআই-এর অফিস নিজাম প্যালেসে প্রায় সাতঘন্টা জেরা করা হয়েছিল অনুপ মাঝিতে। এদিনও তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি নথিপত্রও আনতে বলা হয়েছিল। কয়লা কাণ্ডে অনুপ মাঝির বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি তাঁর দেওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
জড়িত প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরাও
কয়লা কাণ্ডে পুরুলিয়ার প্রাক্তন এক পুলিশ সুপার এবং অন্য এক আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। এর আগেই একাধিক সরকারি আধিকারিকের পাশাপাশি ইসিএল, সিআইএসএফ এবং রেলের আধিকারিকদের জেলা করা হয়েছে। কেননা এইসব আধিকারিকরা ছাড়া কোনওভাবেই অনুপ মাঝির পক্ষে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর ছিল না।
কয়লা কাণ্ডে লালার সঙ্গে যুব তৃণমূল নেতার যোগ
কয়লা কাণ্ডে লালাকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে লালা-ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে জেরা করে সিবিআই এবং ইডি। যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। ইতি সূত্রে খবর কয়লাকাণ্ডে লালার ব্যবসার পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রভাবশালীদের পিছনেই খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা। সূত্রের আরও দাবি, এই টাকা লালার কাছ থেকে নিয়েছিল বিনয় মিশ্রের পাশাপাশি তার ভাই বিকাশ মিশ্রও। পাশাপাশি এই সিন্ডিকেটে আর কারা ছিলেন, মাথা অন্য কেউ ছিলেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে সিবিআই এবং ইডি।