বাকি ছয় দফা ভোট, তৃণমূলের অভিযোগের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হতেই একের পর এক অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। ইভিএম কারচুপি থেকে শুরু করে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। এবার সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাব দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তৃণণূলের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সাধআরণ মানুষের ভোটদান প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। সাধারণ ভোটাররা নাকি ভয় পাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত

এর প্রেক্ষিতে এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে বাংলার নোডাল অফিসার একে সিং এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জগ মোহনকে নির্দেশ দেন যাতে বুথের ভেতরে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যাতে ভোটারদের থেকে কোনও ভাটার আইডি কার্ড বা পরিচয়পত্র না চায়। এদিন নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়, ভোটারের পরিচয় নিশ্চিতকরণ পোলিং অফিসারের দায়িত্ব, তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব নয়।

জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন

এদিকে রাজ্যে বাকি রয়েছে আরও ৬ দফা নির্বাচন৷ আর সেই নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে গতকাল জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন৷ সিইও আরিজ আফতাবের নেতৃত্বে এই জরুরি বৈঠক হয়৷ আর তাতেই সিদ্ধান্ত হয়, চতুর্থ দফার আগেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে৷

তৃতীয় দফার পরেই রাজ্য আসবে আরও ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

তৃতীয় দফার পরেই রাজ্য আসবে আরও ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ আপাতত রাজ্যে মোট ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে৷ জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ এদিন নির্বাচন কমিশনের বেঠকে উপস্থিত ছিলেন আইজি বিএসএফ ও এডিজি আইন শৃঙ্খলা৷

হিংসা ও বিশৃঙ্খলা

দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের যে পরিমাণ হিংসা ও বিশৃঙ্খলা চলেছে তারপর আর বাকি দফার নির্বাচনগুলি কোনও ভাবেই হালকা হাতে নিতে রাজি নয় কমিশন৷ তবে ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর আরও অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট জানায়নি নির্বাচন কমিশন৷

কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী?

তৃতীয় দফা নির্বাচনে বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি, হুগলি রুরালে ১৬৭ কোম্পানি, হাওড়া রুরালে ১৩৩ কোম্পানি এবং হাওড়া সিটিতে ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে৷

More ELECTION COMMISSION News