কলকাতা: ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। তৃতীয় দফার ভোট আগামী মঙ্গলবার। তার আগে জোট রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধেই লড়াইয়ের ময়দানে আইএসএফ। তবে বামেদের সঙ্গে তাঁদের জোট পাকা হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে একাধিক ক্ষেত্রে এখনও আব্বাসের দলের মনোমালিন্য রয়েছে।
তবে চলতি নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চাই বাংলার ক্ষমতা দখল করবে বলে আশাবাদী আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। কংগ্রেসকে নিয়ে আক্ষেপের সুর আব্বাসের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাদের সাথে জোটবদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তবে আমরা তা ভাবি না।’’
নির্বাচন শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে বামেদের সঙ্গে সমঝোতা পাকা হয় আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ ISF-এর। বামেদের সঙ্গে সমঝোতা পাকা হলেও Congress-এর সঙ্গে তাদের কথাবার্তা পাকা হয়নি। আব্বাসের চাহিদা মতো তাঁদের আসন ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বেঁকে বসে কংগ্রেস।
খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপত অধীর চৌধুরী মালদহ, মুর্শিদাবাদে আব্বাসের দলকে একটি আসনও ছাড়তে রাজি হননি। শেষমেশ নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দফায় মোট ৬০ আসনে ভোট শেষ হয়েছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও সখ্যতা তৈরি হয়নি আব্বাসের। বামেরা বহু চেষ্টা করেও প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর বোঝাপড়া পোক্ত করতে পারেনি।
এবার রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটের টিক আগে কংগ্রেস নিয়ে মুখ খুললেন Indian Secular Front বা Isf-এর প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আব্বাস বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাদের সাথে জোটবদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তবে আমরা তা ভাবি না। আমরা চাই সংযুক্ত মোর্চা রাজ্যে সরকার তৈরি করুক। কংগ্রেসও ভালো ফল করুক, কারণ তাঁদের কর্মীরা লড়াই করে যাচ্ছেন। যদি কংগ্রেস নেতৃত্ব অন্য রকম চিন্তা করেন, তবে আমি কি করতে পারি।’’
বাংলার ভোট এবার আট দফায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল রাজ্যের ৩১টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.