চুঁচুড়া: শিয়রে তৃতীয় দফার ভোট। তার আগে বাম ছেড়ে রামে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের ফিরে আসতে বার্তা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের। চুঁচুড়ায় সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন শূর্যকান্ত মিশ্র। এরই পাশাপাশি বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে যাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন তাঁদেরও পিরে আসার বার্তার দিয়েছেন রাজ্য সিপিএমের এই শীর্ষ নেতা।
গত কয়েকটি নির্বাচনে রাজ্যে বামেদের রক্তক্ষরণ জারি। যদিও এবারে ভোটের ফল কী হতে চলেছে তা বলবে সময়। তবে তার আগে এদিন হুগলির চুঁচুড়ার সভা থেকে বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ভোটারদের ফের একবার লাল-পার্টিকে সমর্থনের বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত। রাজ্যে গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে খারাপ ফল হয়েছে বামেদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বামেদের ভোটে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। কাতারে-কাতারে বাম ভোট পড়েছে রামে। তারই জেরে রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে ভালোফল করে বিজেপি। অধিকাংশ কেন্দ্রেই বামেদের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে দেখা যায় বিজেপিকে।
এর আগেও একাধিক সভায় বাম ছেড়ে রামে যাওয়া কর্মীদের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিসেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এবার ফের একবার সেই একই বার্তা চুঁচুড়ার সভায়। চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রণব ঘোষের সমর্থনে চুঁচুড়ার বক্সিং গ্রাউন্ডে একটি সভা করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। ওই সভা থেকে তিনি একযোগে তৃণমূল এবং বিজেপিকে নিশানা করেন। একইসঙ্গে বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া কর্মী সমর্থকদের আবারও বামে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘তৃণমূলকে হারাতে অনেকে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। আবার অনেকে বিজেপিকে হারাতেও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁদের সবার উদ্দেশ্যে বলছি, বামে ফিরে আসুন।”
বঙ্গ ভোট এবার আট দফায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুই দফার ভোট শেষ। এখনও বাকি ছয় দফার নির্বাচন।তার আগে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই বার্তা রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে ভোটাররা এই বাম নেতার আবেদনে এবার কতটা সাড়া দেন, তা জানা যাবে ২ মে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.