না থেকেও ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের কতটা জুড়ে ছিলেন সৌরভ, ব্যাখ্যা দেশের প্রাক্তন স্পিনারের

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও ভারতের ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের প্রতি ছত্রের সঙ্গে কতটা জড়িয়ে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তা জানালেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। ভারতীয় ক্রিকেটে বিসিসিআই সভাপতির প্রভাব ঠিক কতটা, তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন প্রজ্ঞান। পাশাপাশি ওই ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব সেই ভারতীয় দলের প্রতি সদস্যকে দিয়েছেন প্রাক্তন স্পিনার।

সৌরভই কারিগর

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন বছর পর ঘরের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। না থেকে ওই কাপ জয়ে বিসিসিআই সভাপতির উপস্থিতি দেশবাসী উপলব্ধি করেছেন বলেই মনে করেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা।

২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে সৌরভের ভূমিকা

প্রজ্ঞান ওঝার মতে, যে যে ক্রিকেটারের কৃতিত্বে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট, তাঁদের বেছে বেছে দলে সুযোগ দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই। দেশের অধিনায়ক থাকাকালীন দাদার জহুরির চোখ বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, জাহির খান, আশিষ নেহরা, মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং গৌতম গম্ভীরদের চিনতে ভুল করলে টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে এই বিশ্বকাপ জয় সম্ভব হত না বলে মনে করেন ওঝা। আর এখানেই ভারতীয় ক্রিকেট চিরকাল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ঋণী থাকবে বলে মনে করেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার।

একা ধোনিকে কৃতিত্ব দিলে হবে না

২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় বলতেই শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলশেখরার বলে এমএস ধোনির ছক্কার কথা মনে পড়ে ক্রিকেট প্রেমীদের। তা বলে তিনি একই দৃশ্যে আটকে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন প্রজ্ঞান ওঝা। তাঁর কথায়, ওই ফাইনালে তথা গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে টিম ইন্ডিয়ার প্রতি সদস্য কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন। এর ফলেই ভারতের ঐতিহাসিক কাপ জয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ওঝা।

স্মৃতির মণিকোঠায়

প্রজ্ঞান ওঝার কথায়, ভারত ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ যখন জিতেছিল, তখন তাঁর জন্ম হয়নি। ফলে ২০১১ সালের খেতাব জয়ই তাঁর কাছে বিরাট বড় পাওয়া বলে জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার।

More WORLD CUP News