হাওড়া: গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সমর্থনে উলুবেড়িয়ার গোরুহাটা মোড়ে একটি জনসভা করেন আব্বাস সিদ্দিকী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় পদ্মের চাষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’

এদিন আব্বাস সিদ্দিকী অভিযোগ করেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের তরফে। তিনি বলেন , ‘১৯৮৮ সালে বাংলায় পদ্মচাষের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ সেই কারণে বাংলায় এতো পদ্ম ফুটছে। এদিন আব্বাস বলেন, জোড়া ফুলের যত বয়স হচ্ছে তত তা পদ্মফুলের আকার নিচ্ছে। মুকুল, শুভেন্দু, রাজীবের মতো নেতারা তার প্রমাণ। প্রথমে তৃণমূলে থাকলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিজেপিতে গেছে। এদিনের সভা ভাইজান বলেন, কোনো ফুলে হাত দেবেন না।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের জার্সি ধরে টানছে। তবে জার্সি খুলে গেলেও আমরা গোল দিয়ে ছাড়ব। এদিনের জনসভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক হাজার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ কর্মী-সমর্থক দুপুরের চড়া রোদকে উপেক্ষা করে এদিনের জনসভায় অংশ নেন। আব্বাস সিদ্দিকীর পাশাপাশি এদিনের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা এবং সংযুক্ত মোর্চার নেতৃত্ববৃন্দ।’

নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চাই বাংলার ক্ষমতা দখল করবে বলে আশাবাদী আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। কংগ্রেসকে নিয়ে আক্ষেপের সুর আব্বাসের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাদের সাথে জোটবদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তবে আমরা তা ভাবি না।’’

তৃতীয় দফার ভোটের টিক আগে কংগ্রেস নিয়ে মুখ খুললেন Indian Secular Front বা Isf-এর প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আব্বাস বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাদের সাথে জোটবদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তবে আমরা তা ভাবি না। আমরা চাই সংযুক্ত মোর্চা রাজ্যে সরকার তৈরি করুক। কংগ্রেসও ভালো ফল করুক, কারণ তাঁদের কর্মীরা লড়াই করে যাচ্ছেন। যদি কংগ্রেস নেতৃত্ব অন্য রকম চিন্তা করেন, তবে আমি কি করতে পারি।’’

প্রসঙ্গত , নির্বাচন শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে বামেদের সঙ্গে সমঝোতা পাকা হয় আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ ISF-এর। বামেদের সঙ্গে সমঝোতা পাকা হলেও Congress-এর সঙ্গে তাদের কথাবার্তা পাকা হয়নি। আব্বাসের চাহিদা মতো তাঁদের আসন ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বেঁকে বসে কংগ্রেস।

খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপত অধীর চৌধুরী মালদহ, মুর্শিদাবাদে আব্বাসের দলকে একটি আসনও ছাড়তে রাজি হননি। শেষমেশ নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দফায় মোট ৬০ আসনে ভোট শেষ হয়েছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও সখ্যতা তৈরি হয়নি আব্বাসের। বামেরা বহু চেষ্টা করেও প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর বোঝাপড়া পোক্ত করতে পারেনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।