কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নন্দীগ্রামের ভোট পরিস্থিতিতে গেরুয়া ঝড়, দিদির হার খুঁজে পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই উলুবেড়িয়ার সভা থেকে তাঁর শ্লেষমিশ্রিত প্রশ্ন ছিল, তাহলে কি অন্য কোনও আসন থেকে ফের লড়াই করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো? সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলও এর জবাব দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেওই বলেছেন, “নন্দীগ্রামে আমার নিশ্চিত।” তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ট্যুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয় অন্য আর কোনও কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়বেন না। আর এই টুইটেই কার্যত রয়েছে একটি বার্তা, যা থেকে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে,রাজনৈতিক মহলে। কেউ কেউ মনে করছেন ২০২৪-এ দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কী বারাণসীতে?

Didi is winning Nandigram. The question of her fighting from another seat doesn’t arise. @narendramodi Ji, retract from your efforts to mislead people before they see your lies with the end of nomination in WB. Look for a safer seat in 2024, as you will be challenged in Varanasi.

— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 1, 2021

তৃণমূলের অফিশিয়াল পেজ থেকে করা ট্যুইটের লেখা প্রথমাংশ খুব সরাসরি বলা হয়েছে, “দিদি নন্দীগ্রাম থেকে জিতছেনই। তাই অন্য কোনও আসন থেকে তাঁর লড়াইয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” এর পর ট্যুইটে লেখা আছে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে একটি পরামর্শ, “বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন, আপনার মিথ্যাচার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বরং ২০২৪-এ নিজের জন্য নিরাপদ একটি আসন খুঁজে নিন। কারণ, আপনি বারাণসীতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন।” এখানেই প্রশ্ন তবে কী ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসীতে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

আর এখানেই উসকে উঠছে জল্পনা। তবে কি পরবর্তী লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দলের তরফে এই টুইট করা হলো ? কেননা সদ্য ২৮ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়া গান্ধী সহ সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের বিজেপি-র বিরুদ্ধে একজোট হতে আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব দলের নাম তৃণমূল। ঘটনাচক্রে এই তৃণমূলী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসকদল। নির্বাচনী আবহেই হোক কিংবা অন্য সময় রাজ্য-কেন্দ্র, বিজেপি-তৃণমূল, মোদী-মমতার মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত অবিরত চলছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রেও জারি থাকে মোদী-মমতা দ্বৈরথ। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে মোদী সোনার বাংলা গড়ার কথা বললে মমতা বার বার বলেছেন, “আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাববি বাংলা”। এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, কেন্দ্রের সরকার চালাতে তেমন সফল নয় বিজেপি পরিচালিত মোদী পরিচালিত সরকার। এই আবহেই বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের নির্বাচন চলাকালীন মোদী মমতাকে নন্দীগ্রামে পরাজিত হবেন বলে অন্য কেন্দ্রে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। তারই উত্তরে তৃণমূলের এই পাল্টা ট্যুইট হুঁশিয়ারি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।