কলকাতা: সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস ‘এই আমি রেনু’ র উপর ভিত্তি করেই ৯ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে ‘এই আমি রেণু’। ছবি পরিচালনা করেছেন সৌমেন সুর। পরিচালক হিসেবে এটা সৌমেনের এর প্রথম ছবি হলেও যথেষ্ট সময় ও ধৈর্য নিয়ে ধীরে ধীরে এই সিনেমার বুনন বুনেছেন তিনি ।
ছবিতে অত্যাধিক গানের আধিক্য না থাকলেও যে দুটি গান আছে তা দুটিই চিত্রনাট্যের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাণা মজুমদার। গান গেয়েছন অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, কৈলাস খের, মোনালি ঠাকুর এবং অ্যাশ কিং।
সংগীত পরিচালক রানা মজুমদারের লেখা ও মিউজিক কম্পোজিশনে ‘বেশ তো’ গানটি গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। এই গানের চিত্রনাট্য জুড়ে শুধুই মিষ্টি প্রেমের হাওয়া। আরে সাথে অ্যাডিশনাল ভিজুয়াল ট্রিট। যেখানে নদীর পারে ঝিলমিলিয়ে ওঠা রোদ, প্রজাপতি আর সবুজের মলাট।
এই গানের ভিজুয়ালে রেনু এবং সুমিত কখনো নদীর পাড়ে আবার কখনো বাগানের দোলনায় একান্ত নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন। তবে এই ভিজুয়ালে নেই কোন অশালীনতার ছোঁয়া। এছাড়াও মুক্তি পেয়েছে এ ছবি দ্বিতীয় গান ‘চুপ করে তুই’। কলেজ লাইফের নস্টালজিয়া এবং তার সঙ্গে প্রেমে পড়া এই দুইয়ের আবহ তৈরি হলো এই গানে। কলেজ ক্লাসরুমে প্রথম নিজের ভালবাসার মানুষকে দেখা, তারপর ধীরে ধীরে চোখে চোখে কথা, সরস্বতী পুজো, ক্যান্টিনের আড্ডা,দোল খেলা, কলেজস্ট্রিট, কফি হাউজ, হাতে টানা রিকশা বন্ধুদের সঙ্গে আউটিং সব মিলিয়ে এই গান আপনাকে নিঃসন্দেহে কলেজ লাইফে আরো একবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
ছবির নামভূমিকায় অর্থাৎ রেনুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহিনী সরকার। সুমিতের চরিত্রে রয়েছেন গৌরব চক্রবর্তী ও বরেনের ভূমিকায় দেখা যাবে সোহম চক্রবর্তীকে। অশোকের চরিত্রে রয়েছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং বিবিসি নামক এক ছিঁচকে গোয়েন্দার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত।
ছবির গল্পে,উত্তর কলকাতার রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে রেণু, ছোটবেলায় অল্পেই প্রেমে পড়লেও জীবনের আসল ভালোবাসা খুঁজে পায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে সুমিতের মধ্যে।রেণু-সুমিত সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই রেণুর পরিবার তাকে বছর ছত্রিশের চাকুরিজীবি বরেনের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়।বরেনের সঙ্গে বিয়ে হলেও নানা জটিলতা শুরু হয়, তাদের দুজনের মধ্যে এবং তার মূল কারণ, বিয়ের আগে সুমিতকে লেখা রেণুর একটি চিঠি। এই চিঠির নিচে নাম সই করে লেখা ‘এই আমি রেণু’। দক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রী দিয়ে তৈরি এই ছবিতে দর্শকের মন জয় করবে তার বলার অপেক্ষা রাখে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.