মালদহ : ভোট বৈতরনী পাড় করতে সভায় নিয়ে আসা হচ্ছে আইসিডিএস কর্মীদের। এমনি অভিযোগ বিজেপির। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক বিধানসভার মথুরাপুরে। আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূল চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে, ২০১১সালে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয় সাবিত্রী মিত্র। ২০১৬সালে সাবিত্রী মিত্রকে প্রায় ১১হাজার ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয় কংগ্রেসের মোত্তাকিম আলম। আর ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে সাবিত্র মিত্র। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে মোত্তাকিম আলম ও বিজেপির প্রার্থী হয়েছে গৌড় মন্ডল।
এই বিধানসভা কেন্দ্রের মুল সমস্যা রয়েছে ভাঙন। প্রতিবছর ভাঙনে শতাধিক বিঘা জমি তলিয়ে যায় গঙ্গা গর্ভে। গঙ্গার রীভার বেল্টে রাজ্য সরকারের কাজ করার কথা থাকলেও তাঁরা বন্যার সময় সেই কাজ করে বলে ভাঙণ যে তিমিরে থাকার সেই তিমিরেই থেকে যায়। আর যার ফলে বন্য ভাঙণ এই বিধানসভার মুল ইস্যু রয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাধীপতি থাকাকালীন গৌড় চন্দ্র মন্ডল চেষ্টা করেছে ভাঙণ প্রতিরোধের কাজে। ফলে এবার বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট উৎসাহী। এরই মধ্যে প্রচারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জায়গায় সরকারি আইসিডিএস কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের সমর্থনে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
মানিকচক বিধানসভার কামালপুর, মথুরাপুর,নাজিরপুর,মানিকচক, ভূতনি সহ বিভিন্ন এলাকার আইসিডিএস কর্মীদের এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই কর্মীসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করার পর, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা কর্মী সভায় উপস্থিত হবার ফলে তিনি আর সেই সভায় যোগদেননি। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের মিটিং মিছিল সভায় লোক না হওয়ার কারনে সরকারী কর্মীদের সভায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে বিজেপি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালে তার সরোজমিনে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে সভাস্থলে আসে।
নির্বাচনী আধিকারিক এস মৈত্র বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এখানে এসেছি। এখানে কর্মীদের দেখতে পায় তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা সমস্ত রিপোর্ট আধিকারিকদের কাছে দেবে।”
২৪ নম্বর বিজেপির মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল বলেন, “আইসিডিএস কর্মীদের ভয় দেখিয়ে এই সভায় নিয়ে এসে সভা ভর্তি করছে। মডোল কোড অফ কন্ডাক্ট লাগু থাকলে সভায় তাদের নিয়ে যাওয়া যায় না। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি। আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত হোক।”
যদিও গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুখ খুলতে চায়নি কেউ ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।