নয়াদিল্লি: একদিকে একাধিক রাজ্যে চলছে নির্বাচন। এরই মধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাগামছাড়া হারে। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন ৮১ হাজারেরও বেশি, যা কিনা এযাবৎকালে সর্বাধিক রেকর্ড। গত কয়েকমাস ধরে সংক্রমণ কখনই ৮০ হাজারের মাত্রা পেরোয়নি, ফলে এবার বাড়ছে আতঙ্ক।
শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪৬৬ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৫৬ জন।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা সংক্রমণের চিত্রটাও বদলেছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ১৩১ জন। এরমধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৯ জন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ করোনা কেস রয়েছে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৯৬ জন। দেশে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯৬ জনের।
বিরাট সংখ্যক আক্রান্তের সংখ্যার একটা বড় অংশ মহারাষ্ট্রের হলেও অন্য রাজ্যগুলিও পিছিয়ে নেই। পাল্লা দিয়ে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে লাগাতার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাবেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের কাছে অস্ত্র হিসেবে রয়েছে করোনা ভ্যাকসিন। সারা দেশে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রয়োগকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে কেন্দ্র। আর তাই এবার থেকে নির্দিষ্ট কোনও দিনে নয়, সপ্তাহের প্রতিদিন মিলবে করোনার ভ্যাক্সিন। সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এবং বেসরকারি কেন্দ্রেও সপ্তাহের প্রতিদিন করোনার টিকা নেওয়া যাবে বলে বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। সরকারি ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে চলতি এপ্রিল মাসের প্রতিদিন দেশের সব রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেও মিলবে করোনার প্রতিষেধক ।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগ বহু গুণে বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। গোটা দেশ করোনা হানায় ভয়ঙ্কর এক বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.