কলকাতা : প্রথম দুই দফার ভোট গ্রহণ শেষ। তবে বাকি এখনও ছয় দফা। আর সেই নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে একাধিক সফরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সেই কর্মসূচি প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছেন ২৩শে এপ্রিল কলকাতা বন্দর আসনে বা চৌরঙ্গীতে পদযাত্রা ও জনসভা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
এছাড়াও এপ্রিল মাসে একাধিকবার বাংলা সফরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। নির্বাচনের আগে এই মাসের ছয় তারিখ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কোচবিহার ও মধ্য হাওড়ায় এদিন জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
মোদী এর পরের জনসভা করবেন শিলিগুড়িতে। ১০ই এপ্রিল শিলিগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১১ই এপ্রিল দুটো জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। জনসভা করবেন কল্যাণী ও বর্ধমানে। এর পরের জনসভা মোদী করবেন বারাসাতে। ১৪ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে বারাসাতে। সেদিনই আরেকটি সভা রয়েছে কৃষ্ণনগরে।
এর পরের সভা রয়েছে গঙ্গারামপুরে সভা করবেন মোদী। ১৭ই এপ্রিল গঙ্গারামপুরে সভা করবেন । এরপরের সভা মুর্শিদাবাদে। ২০শে এপ্রিল মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি জলঙ্গিতেও সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর ২৬শে এপ্রিল বোলপুরে সভার করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
এদিকে, পয়লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিনও বঙ্গ সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে এসে মোদী বলেন, “এবার নির্বাচনে ২০০ এর বেশি সিট পাবে বিজেপি”। মঞ্চের ওপর থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। “অত্যাচারের খেলা চলবে না” বলে সরব হন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বাংলায় বিজেপির ঢেউ উঠেছে। বাংলায় রক্তের খেলা চলবে না’ বলেও জানান মোদী।
মোদী বলেন, “‘দিদি ঘাবড়ে গিয়ে আগেই ইভিএমের দোষ দিয়েছেন’। মোদীর দাবি, ‘দিদি তিলক দেখলেও রেগে যাচ্ছেন। দিদি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছেন’ বলেও সরব হন প্রধানমন্ত্রী। আত্মবিশ্বাসী হয়ে মোদীর বক্তব্য, “ভোটের গতিবিধি বলছে দিদির হার নিশ্চিত।”
পাশাপাশি মোদীর বক্তব্যে জায়গা পেয়ে যায় ‘খেলার মাঠ’ও। তিনি বললেন, “খেলার মাঠ ছিল, আছে, থাকবে। বিজেপির জন্য বাংলা উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্পর মাঠ হয়ে উঠবে।” মোদীর বক্তব্য, “আসল পরিবর্তন মাত্র একমাস দূরে। দিদি বাংলার কৃষকদের কথা ভাবেনি। ২ মের বিজেপির সরকার গঠনের পরেই কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.