চলতি বছরেই ওবিসিদের আদমসুমারি ?
সূত্রের খবর, দেশের ওবিসি জনসংখ্যার সঠিক পরিমাণ জানতে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের কাছে নির্দিষ্ট উপায়ে জনগণনা করারও দাবি জানিয়েছে এনসিবিসি। একইসাথে চলতি বছরের আদমসুমারির মধ্যেই যাতে সেই কাজ করা হয় সেই বিষয়েটিও বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এনসিবিসির সচিব আনন্দ কুমারের তরফে এই বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শও সামাজিক ন্যায়বিচার মন্ত্রকরে সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দেশের অনগ্রসর শ্রেণির আর্থসামাজিক অবস্থা ও পিছিয়ে পড়া মানুষের আসল সংখ্যা জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন মললেশ যাদব নামে এক ব্যক্তি। তারপর থেকেই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে এনসিবিসি। এদিকে ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সাংবিধানিক বৈধতা পায় ন্যাশান্যাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস।
কিছু বছর আগেই বিশেষ কমিশন গঠন করে কেন্দ্র
এমনকী ওবিসি-দের মধ্যেও অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে দুর্বল অংশগুলিকে সংরক্ষণের সুবিধার্থে এনসিবিসি-র আওতায় একটি কমিশনও গঠন করে কেন্দ্র সরকার। আরও সহজ করে বললে দেশের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষকে আরও বেশি মাত্রায় সামাজিক সুবিধা দিতে, ভিন্ন শ্রেণি বিভাগ করতে দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জি রোহিনীর সভাপতিত্বে সরকারের তরফে ওই কমিশন গঠন করা হয়।
কী মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ?
ওই কমিশন গঠনের পর থেকেই দেশের ওবিসি শ্রেণির হাল-হকিকত নিয়ে একাধিক তথ্যভিত্তিক পর্যালোচনাও করা শুরু হয়। কিন্তু চাকরি হোক বা শিক্ষা প্রতিক্ষেত্রে তারা আদপেই কতটা সুবিধা পাচ্ছেন সেই বিষয়ে কোনও স্বচ্ছ রিপোর্ট এখনও অবধি সামনে আনা হয়নি। এমনকী ওবিসি তালিকায় থাকা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য যোগার করাও সম্ভব হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আসন্ন সেনসাসে আলাদা ভাবে ওবিসি জনতার জনগণনা হলে সেই রাস্তা আগের থেকে বেশ খানিকটা প্রশস্ত হবে।