কলকাতা : বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন নন্দীগ্রামের বয়াল ৭ নম্বর বুথে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং । তিনি একটি এফআইআর-ও করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মমতার করা সেই অভিযোগই এবার নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস । কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে এসে তৃণমূল প্রতিনিধিরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের যেন আগামী দিনে আর ভোটের কাজে মোতায়েন করা না হয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা।

শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের শীর্ষ প্রতিনিধিদের একটি দল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের শীর্ষনেতা যশবন্ত সিনহা, সাংসদ দোলা সেন, বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদলের তরফে দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়ে মোট ৩০০টিরও বেশি অভিযোগ কমিশনর কাছে জানান তাঁরা। যার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনাও। তৃণমূলের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। বহু জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আসছে। আমি এর আগে কোনওদিন এভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ভোট হতে কেউ দেখেনি। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বুথে ইভিএম বিকল হওয়ার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শাসক শিবির।

কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে এসে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলছেন, “৩০০টি নির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা জমা দিয়েছি। এই প্রথম ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সহযোগিতা করছে। যেখানে বিজেপি জোর করে ভোট করার চেষ্টা করছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব থাকছে। আমাদের দাবি, যেসব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের যেন পরবর্তীকালে ভোটের কাজে মোতায়েন করা না হয়।” সুব্রতবাবুর দাবি, “কমিশন যেন উপযুক্ত দায়িত্ব পালন করে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি সংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। কারণ, রাজ্যে আরও একমাস বেশ কয়েক দফার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বাকি আছে। প্রথম দফা থেকেই বিজেপির লোকজন গোলমাল, মারামারি করছে। বুথস্তর ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যা অভিযোগ পাচ্ছি সেটা হওয়া উচিত নয়। এটা চলতে পারে না। প্রথম দুটো দফার পরই আমরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাই ইসিবি যেন আর না হয়, মানুষ যেন তাদের ভোটটা দিতে পারেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।