মমতা বনাম শুভেন্দু দ্বৈরথের আবহেই ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে নন্দীগ্রামের নির্বাচন। জনাদেশ কী এসেছে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এখনও প্রায় এক মাস। এদিকে ভোট গ্রহণ পর্ব মিটিলেও নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে তরজা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। এদিন ভোট চলাকালীন নন্দীগ্রামে মমতার আচরণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বড় নালিশ জানল বিজেপি। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল অবিলম্বে মমতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানায় বলে খবর।
প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি ভোট নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতা যা করেছেন তা নজিরবিহীন, সমস্ত আইনের বাইরে। তাঁর কথায়, “ কাল ভারত প্রথমবার দেখল কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোটগ্রহণ চলার সময় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ধর্নায় বসেছেন। ভোটে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে গোটা ঘটনার সমস্ত ছবি দিয়েছি। সাংবিধানিক পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রী কখনওই এ কাজ করতে পারেন না। গণতন্ত্রের অপমান করেছেন উনি।”
এখানেই না থেমে জাভড়েকর আরও বলেন, “মমতা যখন ওখানে পৌঁছেছিলেন তখন প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট হয়ে গিয়েছে। সিংহভাগ মানুষ তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও জেনেশুনে অশান্তি পাকিয়েছেন তিনি। আমরা কমিশনে গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাই দ্রুত এই ঘটনার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিক কমিশন।” অন্যদিকে এদিন দিল্লি মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় আর এক শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভিকেও।