তামিল সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিচিত জাল্লিকাট্টু
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-২ সরকারে থাকাকালীন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তামিল সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিচিত জাল্লিকাট্টু। সেই সরকারে শরিক দল ছিল ডিএমকেও। পরবর্তীতে দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০১৭ সালে ফের জাল্লিকাট্টু চালু হয় তামিলনাড়ুতে। এই আবহে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাদের ইস্তেহারেও দাবি করেছিল যে, সরকারে এলে জাল্লিকাট্টু বাতিল করবেন তারা।
'জাল্লিকাট্টুর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলাম আমরা'
এইসব কথা মনে করিয়েই এদিন তামিল ভোটারদের মন জয় করতে বক্তব্য রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেন, 'আমি আপনাদের মধ্যে সেই বেদনা অনুভব করেছি। আর তাই এআইএডিএমকে সরাকরের আনা অর্ডিন্যান্সকে আমরা সবুজ সংকেত দিয়ে জাল্লিকাট্টুর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলাম।'
'কংগ্রেস এবং ডিএমকে-র নিজেদের উপর লজ্জা হওয়া উচিত'
এদিন কংগ্রেস এবং ডিএমকে-কে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন, '২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নিজেদের ইস্তেহারে বলেছিল যে তারা রাজ্যে জাল্লিকাট্টুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। কংগ্রেস এবং ডিএমকে-র নিজেদের উপর লজ্জা হওয়া উচিত। ২০১৬-১৭ সালে তামিলনাড়ুর সাধারণ মানুষ এই সমস্যার সমাধান চেয়েছিলেন এবং জাল্লিকাট্টুকে চেয়েছিলেন।'
এমজিআর হাতিয়ারে তামিল আবেগ ছোঁয়ার চেষ্টা মোদীর
এদিকে এদিন নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণী সুপারস্টার তথা এআইএডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা এমজিআর-এর কথাও তুলে ধরেন নিজের ভাষণে। মোদী মনে করিয়ে দেন, ১৯৮০ সালে এমজিআর গণতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতায় এলেও তাঁর সরকারকে মেনে নেয়নি কংগ্রেস। সেবার এমজিআর মাদুরাই পশ্চিম আসন থেকে জিতেছিলেন। ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর এই অংশ থেকেই মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন। তাই আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যে মাদুরাইয়ের সঙ্গে এমজিআর-এর আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, সেই মাদুরাই থেকে বিজেপি, এআইএডিএমরে, পিএমকের জোটকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।