বেলগ্রেড: বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে গোলবাতিলের কারণে হঠাত করেই মাথাগরম করে ফেলেছিলেন তিনি। ক্ষোভে-হতাশায় ম্যাচ শেষে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন অধিনায়কের বাহুবন্ধনী। কিন্তু তাঁর এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যে কারও জীবনে আশীর্বাদ হয়ে নেমে আসতে পারে, তা হয়তো আন্দাজ করেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। রোনাল্ডোর ছুঁড়ে ফেলা সেই বাহুবন্ধনী এক মহৎ উদ্দেশ্যে সম্প্রতি চ্যারিটি নিলামে উঠেছিল। আর নিলামের শেষে তা বিকোল রেকর্ড অর্থে।

সার্বিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হতাশায় ছুঁড়ে ফেলা পর্তুগিজ ফুটবল মায়েস্ত্রোর বাহুবন্ধনী ৬৪ হাজার ইউরো (৭৫ হাজার ডলার) দাম পেয়েছে নিলামে। কে সেই বাহুবন্ধনী সংগ্রহ করেছেন তার পরিচয় না জানা গেলেও নিলামে সংগৃহীত অর্থ যাবে ছ’মাসের গ্যাভ্রিলো জুর্দজেভিচের চিকিৎসা খাতে। ছ’মাসের ছোট্ট এই গ্যাভ্রিলো আক্রান্ত স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফিতে। জিনগত এই ব্যাধির জন্য শিশুদের চলাফেরার প্রতি নিজের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

তিনদিন ব্যাপী এই নিলাম নিয়ে ঝামেলাও কম হয়নি। সার্বিয়ার একটি হিউম্যানিটারিয়ান গ্রুপ সার্বিয়া ম্যাচে ছুঁড়ে ফেলা রোনাল্ডোর নীল আর্মব্যান্ড সংগ্রহ করে তা গ্যাভ্রিলোর চিকিৎসার জন্য নিলামে তোলে। অনলাইন সেই নিলামে কেউ কেউ অবান্তর দর হাঁকিয়ে নিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করে, তো অনলাইন নিলামে শরিক হয় একাধিক ভুয়ো বিডার। তবে শেষ অবধি হিউম্যানিটারিয়ান গ্রুপটির উদ্দেশ্য সফল হয়।

সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ওইদিন ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে রোনাল্ডোর একটি প্রচেষ্টা সার্বিয়ার এক ডিফেন্ডার গোললাইন অতিক্রম করে গিয়ে রক্ষা করলেও তা রেফারি কিংবা লাইন্সম্যানের নজর এড়িয়ে যায়। আর নায্য গোল না পেয়ে পর্তুগিজ সুপারস্টার মাঠ ছাড়ার ঠিক আগে সাইডলাইনের কাছে তাঁর অধিনায়কের বাহুবন্ধনী ছুঁড়ে ফেলে সাজঘরে প্রবেশ করেন।

জানা গিয়েছে, স্টেডিয়ামে কর্তব্যরত এক দমকলকর্মী ওই বাহুবন্ধনী কুড়িয়ে তা চ্যারিটি গ্রুপের হাতে তুলে দেন। এরপর চ্যারিটি গ্রুপের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। আর রোনাল্ডোর মত ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের মাথাগরম যদি এমনভাবে মানুষের সহায় হয়, তাহলে বলতে হবে মাথাগরম করা ভালো।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।