কলকাতা: এই শিরোনাম যেন করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর। তবে গবেষকরা এমন একটি সন্দেহ করছেন। মানুষের সাপে রূপান্তরিত হওয়ার গল্প আপনারা সিনেমায় দেখেছেন। কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি এটাই সত্যি হয় তাহলে কেমন হবে? সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে যে অদূর ভবিষ্যতে মানুষের যা বিবর্তনের পদ্ধতি আসবে, সেখানে সাপের মতোই বিষাক্ত লালা মানুষের মুখ থেকেও ঝরতে পারে।

সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে যে বিবর্তন এসেছে তার ফলেই তারা বিষ প্রস্তুত করতে পারে নিজেদের মধ্যেই। এবার এমন বিষ মানুষও তৈরি করতে পারবে। মানুষের মধ্যেও এমন জিনগত বদল ঘটলে তারাও পারবে তা করতে।

গবেষকরা পিট ভাইপার সাপ নিয়ে পরীক্ষা করছেন। সেখানেই তারা দেখেছেন যে এই সাপের মধ্যে যে বিষ গ্রন্থি আছে তার সঙ্গে সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে থাকা লালা গ্রন্থির মধ্যে রয়েছে দৃঢ় সম্পর্ক। সরীসৃপের মধ্যে যে বিষ রয়েছে সেটা আসলে নাকি প্রোটিন। তারা আত্মরক্ষার সময়ে এই প্রোটিনকে বিষে রূপান্তরিত করতে পারে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যেও যে বিষ রয়েছে এটা অদ্ভুত তথ্য।

আরো পোস্ট-  গরমে ফ্রিজে রাখুন এই প্রসাধন সামগ্রীগুলি

কিন্তু কীভাবে তারা বিষ উৎপাদন করতে সক্ষম? তাইওয়ানের হাবু সাপ নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেছেন যে এই সরীসৃপের ৩,০০০ গ্রন্থি আছে। এই গ্রন্থিগুলি কোষের উপরে বেশি চাপ দেয় না। গবেষকরা বলছেন যে এখন যেটি বিষগ্রন্থি, সেটা একসময়ে নাকি লালা গ্রন্থির কাজ করতো।

তবে শুধু জিনগত কারণে মানুষের মধ্যে এই পরিবর্তন আসবে না। এর সঙ্গে চাই সঠিক পরিবেশ যেখানে এই পরিবর্তন আসতে পারে সফলভাবে। গবেষকরা আশা করছেন যে পরিবেশ অনুকূল থাকলে এবং জিনের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হলে হয় তো হাজার বছর পর ইঁদুরও সাপের মতো বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। একই ভাবে মানুষের মধ্যেও এই ভাবে বিষ উৎপন্ন করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে বলে বিশেষ সম্ভাবনা প্রকাশ করছেন গবেষকরা। তবে এই সমস্তটাই সময়ের অপেক্ষা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।