কলকাতা: আজকাল ছোট থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে একটা আকর্ষণ জন্মায় জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুডের প্রতি। অতিরিক্ত তেল ও মশলা দেওয়া খাবার খেতে খেতে তাদের মধ্যে মেদ জমতে থাকে প্রথম থেকেই। তার মধ্যে তারা দৈনন্দিন জীবনে এতো ব্যস্ত হয়ে পড়ছে যে শরীরচর্চা বা অন্য কোনো এক্টিভিটিও করার সময় পাচ্ছে না। ‘বেবি ফ্যাট’ বলে সেটাকে ছোটবেলায় কিউট বা মিষ্টি লাগলেও এই প্রবণতার ফলেই পরবর্তীকালে বাসা বাধে নানা কঠিন রোগ তাদের শরীরে।
তাই ছোট থেকেই তাকে সহজপাচ্য ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত করুন। এতে দামি দামি অয়েলি খাবার খাওয়ার ঝোঁক যেমন কমবে তাদের মধ্যে তেমন তাদের মেদও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। বাচ্চার ওজন বেশি হলে টাকা খরচ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই পারেন। তবে তার সঙ্গে একটি সহজ ডায়েট মেনে চলতে বলুন আপনার সন্তানদের। ৭-১০ বছরের বাচ্চার জন্য প্রযোজ্য এই ডায়েট। দিনে সাধারণত ১২০০ কিলো ক্যালোরি দরকার তাদের। দেখুন সেই ডায়েট।
১. ব্রেকফাস্ট- সকালের প্রথম খাবার একেবারে হাতে বানানো খাবার হোক। ব্রাউন ব্রেড স্যান্ডউইচ বা সময় থাকলে দু’টি রুটি বানিয়ে দিতে পারেন। সেই সঙ্গে মাঝারি সাইজের একবাটি সবজি বা ছোট একবাটি চিঁড়ে খান। দক্ষিণি খাবারেও ফ্যাট কম। কাজেই দিতে পারেন ২টো ইডলি বা একবাটি উপমা অথবা ১টা উথ্থাপম দিতেই পারেন সন্তানকে। মাঝে মাঝে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিন এই খাবারগুলি।
আরো পোস্ট- মানুষের মুখ থেকেও ঝরবে সাপের মতো বিষ!
২. টিফিন- ব্রেকফাস্টের কিছুক্ষণ পর এক গ্লাস দুধ ও ২টো সুগার ফ্রি বিস্কুট খাওয়াতে পারেন।
৩. লাঞ্চ- দুপুরের খাবার হোক সাদামাটা। আধবাটি ভাত বা ১টা রুটি দিন। সঙ্গে থাকুক ১ বাটি ডাল, একবাটি ইচ্ছেমতো সবজি। মাছ অথবা চিকেন ৭০ গ্রাম। সন্তানকে নিরামিষ খাওয়াতে চাইলে সয়াবিন ২০ গ্রাম কিংবা লো-ফ্যাট পনির ৪০ গ্রাম। সঙ্গে মাঝারি ১ বাটি সালাড আর গরমকালে টক দই রাখুন পাতে।
৪. সন্ধেবেলার খাবার: ২টো ইডলি বা ২ পিস ধোকলা দিতে পারবেন নিজের হাতে বানিয়ে।আবার মুড়ি শশাও দিতে পারেন। টোনড দুধ ও বিস্কুট দিতে পারেন।
৫. রাতের খাবার: রুটি ও একবাটি ডাল, মাছ বা চিকেন ৭০ গ্রাম দিন। সঙ্গে থাকুক স্যালাড।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.