মিউনিখ: অনামী বললে তা সর্বাংশে সত্য নয়। কারণ রাজা তৃতীয় আলেকজান্ডারের জন্য ম্যাসিডোনিয়ার একটা বাড়তি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। তবে বৃহস্পতিবারের আগে অবধি দেশটার ফুটবল নিয়ে বিশেষ চর্চা ছিল না আন্তর্জাতিক মহলে। কিন্তু এদিনের পর সেই চর্চা শুরু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ বৃহস্পতিবার দিনটা আক্ষরিক অর্থে উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার ফুটবল ইতিহাসে ঐতিহাসিক দিন। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে এদিন হারিয়ে দিল উত্তর ম্যাসিডোনিয়া।

ঘরের মাঠে জোয়াকিম লো’র দলের অবাক হার ১-২ গোলে। গোরেৎস্কা, কিমিচ, টার স্টিগেন, হ্যাভার্তজদের মাটি ধরাল এলমাস, আদেমি, ত্রাজকোস্কির মতো অনামীরা। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে এদিন ৭০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ফুটবল খেলে জার্মানি। গোরেৎস্কার একটি শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ায় ঠিক আগে প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে গোল করে উত্তর ম্যাসিডোনিয়াকে এগিয়ে দেন পান্ডেভ। যদিও ৬৩ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় জার্মানি।

লেরয় সেনকে বক্সে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় জোয়াকিম লো’র ছেলেরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে জার্মানিকে সমতায় ফেরান ম্যান সিটি মিডফিল্ডার ইকের গুন্দোয়ান। এরপর নিজেদের বক্সে জার্মানির এক ফুটবলার হাতে বল লাগালেও পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় উত্তর ম্যাসেডোনিয়া। ৮০ মিনিটে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন জার্মান স্ট্রাইকার টিমো ওয়ের্নার। পরিবর্ত হিসেবে নেমে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন চেলসি স্ট্রাইকার।

পাঁচ মিনিট বাদে সহজ সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় জার্মানিকে। বক্সের মধ্যে আদেমির কাটব্যাক থেকে গোল করে উত্তর ম্যাসিডোনিয়াকে জয়সূচক গোল এনে দেন নাপোলি মিডফিল্ডার এলিফ এলমাস। আর এই জয়ের ফলে যোগ্যতা অর্জন পর্বের তিন ম্যাচ পর জার্মানিকে টপকে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রু-জে’র দ্বিতীয়স্থানে উঠে এল বালকান দেশটি।

গ্রুপ-আই’য়ের হাইভোল্টেজ ম্যাচে রবার্ট লেওয়ানদোস্কিহীন পোল্যান্ডকে হারিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে এদিন দুই অর্ধে গোলদু’টি করেন হ্যারি কেন এবং হ্যারি ম্যাগুয়ার। প্রথমার্ধে ১৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা স্পারস স্ট্রাইকারের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে জাকুব মডার সমতায় ফেরান পোল্যান্ডকে। কিন্তু ৮৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান ম্যান ইউ অধিনায়ক ম্যাগুয়ার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।