বুথ ছাড়লেন মমতা
প্রায় ২ ঘণ্টা বয়ালের ৭ নম্বর বুথে কাটানোর পর নজির বিহীন নিরাপত্তায় সেখান থেকে বেরোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্যপুলিশ, স্পেশাল অ্যাকশন টিম ঘেরাটোপে বয়াল বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা। মেঠো পথে তাঁকে গার্ড দিয়ে নিয়ে আসেন নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, জেলা পুলিশ সুপার। মমতা যে রাস্তা দিয়ে সড়কে উঠে আসেন। সেখান কড়া নিরাপত্তায় মু়ড়ে ফেলা হয়েছিল। মমতাকে দেখে খেলা হবে স্লোগান দিতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াও শুরু হয়ে যায়। তবে এই ঘটনা বাংলার ভোটের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর সঙ্গে বৈঠক
বয়ালে ৭ নম্বর বুথের ভেতরেই নন্দীগ্রামের স্পেশান পুলিশ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নগেন্দ্রকে অভিযোগ করেন ভোটারদের নিরাপত্তা কেন নেই। ভোটারদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে এর দায়িত্ব কে নেবে। নগেন্দ্র ত্রিপাঠি তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরেও ভোটারদের নিরাপত্তা থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তারপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি হন মমতা।
মমতাকে দেখে স্লোগান
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে আসতেই খেলা হবে স্লোগান গিতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে মমতার সামনেই বেশ উত্তেজনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী, স্পেশাল ফোর্স, রাজ্য পুলিশ কর্ডন করে তাঁকে বের করে আনছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার সময় গ্রামবাসীদের ভোট দিতে যাওয়ার কথা বলেন। ইশারায় তিনি বলেন ভোট দিতে যান।
নজির বিহীন ঘটনা নন্দীগ্রামে
দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে যা ঘটল তা এক প্রকার নজির বিহীন বলা চলে। সাকেল শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই বয়ালের ৭ নম্বর বুথে উত্তেজনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতিতে দেদারে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে বিজেপি অভিযোগ করতে শুরু করেন কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই বুথের ৫০ মিটারের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।