বাংলায় বিধানসভার ভোটের দ্বিতীয় দফাতেও ৮০ শতাংশের উপরে ভোট পড়ল পশ্চিমবঙ্গে। আর অসমে দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া দুই রাজ্যের প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ আপাত সুষ্ঠু। তবে নন্দীগ্রাম নিয়ে সারাদিনই উত্তেজনা ছিল। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন পুরো বিষয়টি ভালো সামলেছে।
এবার বাংলার ভোট হবে মোট আট দফায়। আর অসমের ভোট হবে তিন দফায়। বাংলায় এদিন চারটি জেলার মোট ৩০ আসনে ভোট ছিল। সবথেকে বেশি ৮২.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বাঁকুড়ায়। আর সবথেকে কম ৭৮.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৮১.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট পড়েছে ৭৯.৬৬ শতাংশ।
বাঁকুড়ার আটটি কেন্দ্রে ভোট ছিল। বাঁকুড়া, বড়জোড়া, বিষ্ণুপুর, ইন্দাস, কোতুলপুর, ওন্দা, সোনামুখী ও তালডাংরা। তারমধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে কোতুলপুরে ৮৭.২১ শতাংশ। আর সবথেকে কম ভোট পড়েছে বাঁকুড়ায় ৭২.৮৬ শতাংশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ৯টি কেন্দ্রে এদিন ভোট ছিল। চন্দ্রকোনা, দাসপুর, ঘাটাল, খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, কেশপুর, ডেবরা, সবং, পিংলা। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ৮৬.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে চন্দ্রকোনায়। আর সবথেকে কম ৭১.২০ শতাংশ ভোট পড়েছে দাসপুরে।
পূর্ব মেদিনীপুরের মোট ৯টি কেন্দ্র ভোট হয়েছে। সেগুলি হল- তমলুক, হলদিয়া, মহিষাদল, চণ্ডীপুর, ময়না, নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, পাঁশকুড়া পূর্ব ও পাঁশকুড়া পশ্চিম। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ৮২.৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে নন্দকুমারে। সবথেকে কম ৮০.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে তমলুকে। আর হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৮০.৭৯ শতাংশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট চারটি কেন্দ্রে এদিন ভোট হয়। গোসাবা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও সাগরে ভোট হয় দ্বিতীয় দফায়। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ৮৬.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে পাথরপ্রতিমায়। আর সবথেকে কম ৭৬.১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে কাকদ্বীপে।