চেন্নাই: টানা বায়ো-বাবলে ক্লান্ত অজি ক্রিকেটারদের আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে৷ মিশেল মার্শের পর এবার জোস হ্যাজেলউড ২০২১ আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে টানা ১০ মাস বায়ো-বাবলে ক্লান্তিক দায়ি করলেন অজি তারকা পেসার৷
আইপিএল শুরুর আগেই সরে দাঁড়ালেন দুই অজি ক্রিকেটার৷ বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অজি অল-রাউন্ডার মিশেল মার্শ৷ আইপিএলের দীর্ঘ বায়ো-বাবলের কথা ভেবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান মার্শ৷ বৃহস্পতিবার একই পথে হাঁটেন হ্যাজেলউড৷ ফলে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ধাক্কা খেল সানরাইজার্স ও সুপার কিংস৷ মার্শের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের ওপেনিং ব্যাটসম্যান জেসন রয়কে দলে নিয়েছে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি৷ তবে হ্যাজেলউডের পরিবর্ত এখনও জানায়নি চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজি৷
আইপিল থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে হ্যাজেলউড বলেন, ‘দীর্ঘ ১০ মাস বায়ো-বাবল ও কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে রয়েছি৷ সুতরাং আমি ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম৷ আগামী দু’মাস আমি অস্ট্রেলিয়ায় বাড়িতেই থাকব৷ সামনে আমাদের শীতের মরশুম আসছে৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ রয়েছে৷’
তিনি আরও বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজ রয়েছে৷ সুতরাং টানা ১২ মাস অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে থাকব৷ তার আগে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেকে তৈরি করতে এটাই সেরা সময়৷ সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নিলাম৷ আশা করি এটা আমার জন্য ভালো হবে৷’ আইপিএলের নিয়মে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আট দলের ক্রিকেটারদের প্রত্যেকের বাধ্যতামূলক সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷
অজি তারকা পেসার গত আইপিএলে মরু শহরে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলেছিলেন৷ তার আগে থেকে দেশের হয়ে টানা খেলার জন্য পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেননি৷ গত বছর জুলাইয়ে করোনা আবহের মধ্যেই ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ২০২০ আইপিএল খেলতে গিয়েছিল৷ সেখান থেকে ফিরে অ্যাডিলেডে দু’ সপ্তাহ হোটেলে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.