তরুণ প্রজন্ম দায়ী
বৃহস্পতিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে তরুণ বয়সের ছেলে-মেয়েরা বাইরে বেরোচ্ছেন এবং কোভিড-১৯ কেসগুলির সঙ্গে মিশে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। তিনি এও জানান যে তরুণ সম্প্রদায় মনে করছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা খুবই হাল্কাভাবে সংক্রমণ হবে এবং তাঁরা কোভিড-যথাযথ আচরণ পালন করছেন না। রণদীপ গুলেরিয়া এও জানিয়েছেন যে প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে তরুণদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যদিও টিকাকরণে বয়স্কদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ–পর্যায়ের বৈঠক
বুধবার পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়ে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এবং নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। এই বৈঠকে পাঞ্জাব সরকার এবং চণ্ডীগড় প্রশাসনের দ্বারা গৃহীত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় টিকাকরণ কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ ভি কে পাল এই বৈঠকে সংক্রমণের চেন ভাঙতে কড়া ও ক্রমাগত সতর্কতা অবলম্বনের ওপর জোর দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে আরটি-পিসিআর টেস্ট, সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সনাক্ত করা এবং কনটেইনেমন্ট জোনে কড়া নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে হবে।
পাঞ্জাবে কোভিড–১৯ বৃদ্ধি পাচ্ছে
পাঞ্জাবে প্রত্যেক সপ্তাহে নতুন নিশ্চিত করোনা কেসের হার ২১ শতাংশ করে বাড়ছে। এর পাশাপাশি গড়ে দৈনিক সংক্রমণ ২,৭৪০ করে রেকর্ড হচ্ছে। এই সময়েই পাঞ্জাবে প্রত্যেক সপ্তাহে ৩০ শতাংশ করে নতুন করে করোনায় মৃত্যু হচ্ছে। রাজ্যে এখন বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫৩ জন করে মৃত্যু হয়।
চণ্ডীগড়ের করোনা পরিস্থিতি
চণ্ডীগড়েও একই বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নতুন কেসের ক্ষেত্রে সপ্তাহে সপ্তাগহে ২৭ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ১৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দৈনিক করোনায় মৃত্যুও। গত সপ্তাহে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ২৫৭ টি করে নতুন করোনা কেস ও দৈনিক ১৪ জনরে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।