নন্দীগ্রামে হারবেন মমতা
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজ বাংলার মানুষ করতে চাইত, তা আজ নন্দীগ্রামের মানুষ করে দেখিয়েছেন। ভবানীপুর ছেড়ে হারের ভয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নন্দীগ্রামে গিয়ে দিদি ভাবছেন মারাত্মক ভুল করে বসেছেন। মোদী আরও বলেন, দশ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলার মানুষের জন্য যদি কাজ করলেন তাহলে এই দিন দেখতে হত না, কটাক্ষ করেন তিনি।
ভাষা নিয়ে আক্রমণ
মোদী কটাক্ষ করে বলেন, দিদি আপনি বাংলার ভাষা সংস্কৃতি এমন কি এখানকার মান মর্যাদার অপমান করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে মোদী বলেন, তাঁকে (মোদী) যত খুশি অপমান করছেন, বাজে কথা বলছেন, বলুন। কিন্তু রামকৃষ্ণদেব, নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ-সহ মহান মনীষীদের অপমান তিনি করতে দেবেন না। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের খুশি করতে দিদি বাংলার মানুষদের ভুলেই গিয়েছেন। এই দশ বছরে তিনি যে উন্নয়ন করেছেন, তাঁর সঠিক জবাবও নিজের কাছে নেই।
তৃণমূলকে নিশানা
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। বলেন আম্ফানের সময় স্থানীয় মানুষদের সাহায্য করার বদলে এরা লুট করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাছিয়েছিল সেই টাকা গরিব মানুষের কাছে পৌঁছনোর বদলে তৃণমূলের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে, চাকরির দরখাস্ত জমা দিতে, হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলেও কাটমানি দিতে হয়।
নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়
এদিন প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করে বলেন, নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়। এদিন সভায় বহু মানুষের সমাগমে খুশি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এদিনের সভায় মা আর েবানেরা এত সংখ্যায় উপস্থিত হয়েছেন যেটা তাঁর জীবনে বিশেষ শক্তির সঞ্চার করেছে।
বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দফার ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তৃণমূলের তরফে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এদিন তা নিয়ে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দেওয়া কি অপরাধা? ওলাকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি প্রণাম জানানো কি অপরাধ।
তৃণমূল হল বাংলার মানুষের শূল
এদিন নিমতার শোভা মজুমদারের নাম নিয়ে সভা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, তাঁর আফসোস হয়, এই ধরনের ঘটনার পরে যখন তিনি দেখেন দিদি কুল কুল। তিনি পরেই কটাক্ষ করে বলেন, দিদি তৃণমূল কুল নয়, বাংলার মানুষের জন্য শূল। তিনি ফের বলেন, দিদিকে বলতে চান বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূল কোনও ফুল নয়, শূল মাত্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিদি তৃণমূলকে হিসেব দিতে হবে, হত্যার হিসেব দিতে হবে। রক্ত আর অত্যাচারের খেলা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।