ওয়াশিংটন: মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে ঘুরতে থাকা মহাকাশযানের সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে ব্যবস্থা নিল নাসা। নাসা তার চলমান মঙ্গল মিশনের তথ্য ভারত, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সাথে বিনিময় করতে শুরু করলো।
হংকং-ভিত্তিক এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে নাসার এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সংঘর্ষের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য মঙ্গলের কক্ষপথে যেসব দেশের মহাকাশযান ঘুরছে সেই সমস্ত দেশের মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে ডেটা বিনিময় করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নাসা বলেছে যে, “আমাদের নিজ নিজ মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নাসা সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইস্রো) এবং চীন ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, এই সমস্ত দেশের মহাকাশযান মঙ্গলের কক্ষপথে রয়েছে। মঙ্গলগ্রহে আমাদের নিজ নিজ মহাকাশযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নিজ নিজ মঙ্গল মিশনের উপর তথ্য আদান প্রদান করছি।”
২০১৪ সালের প্রথম থেকেই ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের মার্স অরবিটর মিশন, মঙ্গলায়ান মহাকাশযানটি মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে রয়েছে।ভারত এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ যে প্রথম মঙ্গল গ্রহে নিজেদের মহাকাশযানটি পাঠায়।
অন্যদিকে, চীনের তিয়ানওয়েন -১, একটি ল্যান্ডার এবং রোভার নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল এবং আগামী কয়েকমাসের মধ্যে মঙ্গলে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশযান ‘হোপ’ও মঙ্গল গ্রহের চারদিকে প্রদক্ষিণ করছে। এটা ছাড়াও মঙ্গলের কক্ষপথে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা থেকে দুটি মহাকাশযান রয়েছে। হংকং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসা চীনের সাথে তথ্য আদান প্রদানের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৫১টি অভিযান হয়েছে মঙ্গলে। যার মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ২১টি। আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এখনও পর্যন্ত মঙ্গলে সফল অভিযান করতে পেরেছে। তবে প্রথমবারে কেউই সফল হয়নি। পেরেছিলো শুধু ভারত। শ্রীহরিরকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি সি টোয়েন্টি ফাইভে চেপে মঙ্গলের পথে রওনা দিয়েছিল ভারতের মঙ্গলযান।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.