স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ভোটের আগেই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। দাদপুর গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির-র বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন৷

বুধবার রাতে উত্তম দোলই নামে তৃণমূল কর্মীর পেটে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির৷ গুরুতর জখম অবস্থায় এদিনই তাঁকে কেশপুর হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ভোররাতে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।কেশপুরের এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, বুথ জ্যাম করা হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে কেশপুরের গুণহারা গ্রামে যান বিজেপি প্রার্থী। সেই সময়ই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ধারাল অস্ত্র, বাঁশ, ইট, লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। গাড়িতে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়। পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। গাড়িতে বেধড়ক একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । তিনি এখন কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি। অন্যদিকে, ১৪৪ ধারার মধ্যেই নন্দীগ্রামে সোনাচূড়া ও কালীচরণপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।

বাংলায় আট দফার নির্বাচনে হিংসা রুখতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই একঝাঁক পুলিশ-আমলাকে বদল করা হয়েছে। রয়েছে বিশাল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা এবার কমিশনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক কর্মী খুন, একাধিক জায়গায় গন্ডগোলের ঘটনায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। পাশাপাশি তাঁর প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে মমতাকে তাঁর বার্তা, “৬৬ বছর, আন্টি। আন্টি কো থোড়া শান্ত র‌্যাহনা চাহইয়ে। সংযত থাকতে হবে তাঁকে। গুন্ডাগিরি করা চলবে না। উন্নয়ন জিতবে, তোষণের রাজনীতির পরাজয় হবে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।