ডেবরা: ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত ডেবরা৷ বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে গিরে বিক্ষোভ৷ বুথের সামনে বহিরাগতদের নিয়ে এসে জড়ো করেন ভারতী ঘোষ, এই অভিযোগে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের৷ ভারতীর সঙ্গে আসা কয়েকজনের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি হয়৷ পুলিশের সামনেই বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকে৷ সেষমেশ পুলিশই পরিস্থিতি সামাল দেয়৷ বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে আটক করে পুলিশ৷ প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়েন ভারতী ঘোষ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র ডেবরা৷ মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই প্রাক্তন আইপিএস। তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর লড়ছেন বিজেপির ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে৷ দুই প্রাক্তন আইপিএস-এর লড়াই ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তপ্ত এলাকা৷ বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত সময়ে ডেবরাতে শুরু হয় ভোট৷ তবে ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকটি এলাকার বুথে বিজেপি এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন ভারতী ঘোষ৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘নোয়াপাড়ায় পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দিচ্ছে না৷ অবজার্ভারকে বিষয়টি জানিয়েছি৷’’
এদিকে, ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধেও বহিরাগতদের জড়ো করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে৷ ডেবরার বিজেপি প্রার্থী বহিরাগতদের বুতের সামনে নিয়ে এসে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের৷ এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা৷ ভারতী ঘোষকে ঘিরেই বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ৷ এরই পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় কয়েকজন এলাকাবাসীর৷ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে৷ যদিও পুলিশের সামনেও বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মারামারি৷ বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে আটক করে পুলিশ৷ এরই মধ্যে গাড়ি নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান ডেবরার বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ৷
ডেবরা ছাড়াও আজ দ্বিতীয় দফার ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ৷ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ভোটগ্রহণ চললেও অশান্তি এড়ানো যাচ্ছে না৷ কেশপুরে সকালে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে৷ কেশপুরের ১৭৩ নম্বর বুথের সামনে গন্ডগোল হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। পুলিশের সামনেই পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। আহত এক মহিলা হাসপাতালে ভর্তি৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.