টিকাকরণে জোয়ার
পিআইবি-র তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, ৩১ মার্চেই সবকটি রাজ্য় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এবিষয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে৷ টিকাকরণ কেন্দ্রগুলির ব্যবহার বাড়িয়ে টিকাকরণে জোয়ার আনতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে তারা৷
বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর পরামর্শ মেনে সিদ্ধান্ত
দেশের প্রবীণ ও অসুস্থ নাগরিক, যাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি, তাঁদের বাঁচাতে সরকারের সবথেকে বড় অস্ত্র টিকাকরণ৷ কেন্দ্রের তরফে স্থির করা হয়েছে, এদিন থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি সমস্ত নাগরিককেই করোনার টিকা দেওয়া হবে৷ টিকাকরণ প্রশাসন সংক্রান্ত জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
আজ থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ
প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকাকরণের পর গত ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় দফার কোভিড টিকাকরণ৷ এই দফায় ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের এবং ৪৫ বছরের উপরে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের টিকাকরণ করানো হয়৷ আজ, পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ৷
৪৫ বছরের উপরে সবাই পাবেন করোনা ভাইরাসের টিকা
এই দফায় ৪৫ বছরের উপরে সবাই পাবেন করোনা ভাইরাসের টিকা৷ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২৫০ টাকার বিনিময়ে মিলছে টিকা৷ দ্বিতীয় দফার মতোই তৃতীয় দফাতেও এই দাম রাখা হয়েছে৷ যোগ্য ও ইচ্ছুক মানুষ কোউইন পোর্টাল বা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে টিকাগ্রহণের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন৷ প্রত্যেক টিকাকরণের ডিজিটাল রেকর্ড ধরে রাখা হচ্ছে৷
'কোভিড টিকাকরণের প্রক্রিয়া যথেষ্ট মজবুতভাবে এগোচ্ছে'
তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরুর আগের দিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন৷ তিনি বলেন, 'আমাদের মতো বিরাট ও জনবহুল দেশে কোভিড টিকাকরণের প্রক্রিয়া যথেষ্ট মজবুতভাবে এগোচ্ছে৷ গুরুত্ব বিচার করে আগে টিকা দেওয়া হচ্ছে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রের মানুষদের টিকাকরণের প্রক্রিয়াও ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে৷'