ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ খারিজ
দুপুর থেকে খবরের শিরোনামে থাকা নন্দীগ্রামের বয়াল ৭ নম্বর বুথে কোনও ছাপ্পা ভোট পড়েনি। বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৪ শতাংশের কাছাকাছি। বিকেল চারটে পর্যন্ত কোনও ভোট দানে বাধা পড়েনি। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ছিলেন ৩টে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। তারপরে সেখানে ভোট দিয়েছেন মোট ৭০২ জন। বিকেল চারটে পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
বয়ালে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ
দুপুর থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল নন্দীগ্রামের বয়াল ৭ নম্বর বুথে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন দেদার ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বিজেপি। ভোটারদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে।এমনই অভিযোগ করে বুথের বাইরে জমায়েত করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলেছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় হাতাহাতি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বয়ালে।
বয়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লাগাতার অভিযোগ পাওয়ার পর বয়ালে ৭ নম্বর বুথে পৌঁছে যান তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুথে ঢুকতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকা। জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্যপুলিশের পক্ষ থেকে কোনও মতে পরিস্থিতি সামলে রাখা হয়। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন সেই কেন্দ্রে প্রায় ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট পড়ে গিয়েছে। বুথ থেকেই তিনি রাজ্যপালকে ফোন করেন।
কমিশনে নালিশ
বয়াল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। নন্দীগ্রামে ঘটনা নিয়ে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে কড়া চিঠি লেখেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের পরিচয় পত্র পরীক্ষা করছে। ভোটার কার্ড ছাড়া বুথে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটার কার্ড পরীক্ষা করা কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক্তিয়ারে পড়ে কিনা এই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।