কলকাতা: বিধানসভা ভোট চলাকালীন আইনি প্যাঁচে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ভোপালের আদালতের৷ আগামী ১ মে অভিষেককে আদালতে হাজিরার নির্দেশ৷ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয়কে নির্বাচনী সভায় ‘গুন্ডা’ বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিষেকের এই মন্তব্যে তাঁর মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন আকাশ৷ তাঁর আইনজীবী ভোপালের আদালতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন৷ তারই ভিত্তিতে এবার তৃণমূলের সাংসদকে সমন পাঠিয়ে তলব আদালতের৷
পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা ভোট৷ আজ বাংলায় দ্বিতীয় দফার নির্বাচন৷ রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে৷ একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ তৃণমূলকে সরিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা পদ্ম শিবিরের৷ একুশের ভোটে রাজ্যজুড়ে প্রচারে ঝড় তুলছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষ৷ এবারের ভোটে শুরু থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করে চলেছেন বিজেপি নেতারা৷ অভিষেককে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে বিঁধে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতা৷
পাল্টা অভিষেকও সুর চড়াচ্ছেন বিজেপির বিরুদ্ধে৷ তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘আমাকে আক্রমণ করলেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছি৷ কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বহিরাগত৷ অমিত শাহ বহিরাগত৷ দিলীপ ঘোষ গুন্ডা৷ আমি তো বলছি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা৷ ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দেখান৷’’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের ততপরতা নেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়৷ ইন্দোরের বিজেপি বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয় অভিষেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ভোপালের আদালতে৷ আগামী ১ মে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরার নির্দেশ দেয় ভোপালের আদালত৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.