মুম্বই: তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিয়ে নাইট শিবির কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি না দেওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল সাময়িকভাবে। তবে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে কলকাতা নাইট রাইডার্স জানিয়ে দিল করোনা আক্রান্ত হলেও তা জয় করে আপাতত সুস্থ দলের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান নীতিশ রানা।

আমাদের ওয়েবসাইটেই বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদনে নাইট ব্যাটসম্যানের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়। সেখানে জানানো হয়েছিল নাইট শিবিরে যোগদানের পূর্বে নীতিশ রানা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নাইটদের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, গত ১৯ মার্চ কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট রিপোর্ট নিয়েই নাইট শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন রানা।

সেখানে বাধ্যতামূলক সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনের দ্বিতীয়দিন এসওপি মেনে তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে রানার। যদিও তাঁর শরীরে কোনওরকম উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছে নাইট কর্তৃপক্ষ। এই সময়কালে কোয়ারেন্টাইনেই ছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার রানার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট অবশেষে নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে নাইট শিবির। শীঘ্রই এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং মরশুমের প্রথম ম্যাচ থেকে তাঁকে পেতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই জানিয়েছে নাইট শিবির। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট শুরুর দিনকয়েক আগে যে চাপা শঙ্কা গ্রাস করেছিল নাইট শিবিরে, এদিনের পর তা অনেকটাই উধাও।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, নাইট শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে করোনার কোপে পড়েছেন নাইটদের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। এদিন গোটা ঘটনাটি বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করায় বিষয়টি স্পষ্ট হল অনুরাগীদের। দিল্লির হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি এবং বিজয় হাজারে ট্রফি, জোড়া ঘরোয়া টুর্নামেন্টেই দিল্লির হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে নাইট ব্যাটসম্যানকে। বিজয় হাজারে ট্রফিতেও ভালো ফর্মে ছিলেন তিনি। সাত ম্যাচে ৬৬.৩৩ গড়ে ৩৯৮ এসেছিল রানার ব্যাট থেকে।

উল্লেখ্য, কেকেআরের ব্যাটিং-অর্ডারে নীতিশ রানার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০২০ মরুশহরে ব্যাট হাতে খুব বেশি সফল না হতে পারলেও এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৫২ রান। স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৫৮। বিগত চারটি মরশুমেই আইপিএলে অন্ততপক্ষে ৩০০ রান করেছেন এই দিল্লি ব্যাটসম্যান। ২০১৮ কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে যোগদানের পূর্বে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্য ছিলেন রানা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।