কলকাতা: পরিণীতা ছবির মেহুল চরিত্রটির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘসময় বড় পর্দা থেকে বিরতি নেওয়ার পরে শুভশ্রীর কামব্যাক ছবি হয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ছবি পরিণীতার মেহুল চরিত্রটির মাধ্যমে। এই ছবি নিঃসন্দেহে অভিনেত্রী শুভশ্রীর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট বলা যেতে পারে।

ছবিতে সাদামাটা ছাপোষা মেহুল প্রেমে পড়ে পাড়াতুতো দাদা বাবাই দার । এই বাবাইদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। গল্পের প্রথমাংশে পড়াশোনায় খুব একটা ভালো নয় মেহুল। সে নিছকই পাশের বাড়ির একটি সাধারণ মেয়ের মতন। অন্যদিকে বাবাইদা পড়াশোনায় ভালো , থিয়েটার করে ব্রাইট ফিউচার। এরপর গল্পের স্রোতে ছবি দ্বিতীয়ার্ধে দেখা যায়, কমপ্লিটলি গ্রুমড, চূড়ান্ত স্মার্ট, দারুন গ্ল্যামারাস মেহুলকে। চরিত্রের দুটো শেডেই অসাধারণ অভিনয় করে ক্রিটিক থেকে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছিল শুভশ্রী। তাকে দেখে টলিউডের অনেকেই বলে উঠেছিলেন ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’।

মেহুল চরিত্রের জন্য গতকাল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রথমবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন অভিনেত্রী। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলের ছবি শেয়ার করে লিখলেন ‘যখন আমি এই অ্যাওয়ার্ড পেলাম, তখন এই অ্যাওয়ার্ড আমাকে মনে করিয়ে দিলো যে, তুমি যেখান থেকেই আসো না কেন প্রত্যেকের স্বপ্নই সমানভাবে দামি।’ সঙ্গে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী কে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়ে শুভশ্রী বললেন তাঁকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি রাজ চক্রবর্তীর কাছে কৃতজ্ঞ। সঙ্গে তাঁর পরিণীতা ছবির কো স্টার ঋত্বিক চক্রবর্তী, মেহুল চরিত্র জন্য শুভশ্রীর মেন্টর আর এক দাপুটে অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত কেউ ধন্যবাদ জানালেন তিনি।

শুভশ্রী তার এই অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলে দিলেন তাঁর জীবনের নতুন সদস্য ক্ষুদে কিউটনেস লোডেড যুবানের হাতে। সেই দারুন মিষ্টি ছবির নিচে কমেন্ট করে কংগ্রাচুলেট করলেন টলিউডের অলিখিত অভিভাবক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অঙ্কুশ হাজরা, মনামী ঘোষ,অনিন্দিতা বোস,নুসরত জাহান। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড হাতে যুবানের এই ছবি দেখে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর আদর মাখা আশীর্বাদ জানিয়ে লিখলেন, ‘ওলে বাবা’। অনিন্দিতা বোস কমেন্ট করে লিখলেন ‘তুমি এই অ্যাওয়ার্ড ডিজার্ভ করো।’
সামনে নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী অভিনীত চক্রবর্তী প্রোডাকশন হাউজের আরো দুই ছবি।হাবজি গাবজী ও ধর্মযুদ্ধ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।