একুশে বাংলা জয়ের লক্ষ্য
একুশের বাংলা জয় করতে মরিয়া বিজেপি শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মুখ সামনে না রেখেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে তারা। শাসক দল থেকে একের পর এক দুঁদে নেতাদের ভাঙিয়ে এনে তাঁদেরই পুরনো দলের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। শুভেন্দু, রাজীব, মুকুল, সব্যসাচী প্রায় জানা বিশের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতাকে ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। একদিকে খাটনি অনেকটাই কমে গিয়েছে। নতুন দলে ভিঁড়ে নতুন প্রতিকে জেতার জেদে নেতারাই ঝাঁপিয়ে কাজ করছেন। পথ অনেকটাই সুগম হয়ে গিয়েছে। আর বাকি আসনে তারকাদের প্রার্থী করে যুবদের আকর্ষণ করেছে। যেকটা পড়ে ছিল তাতে দলের পুরনো সাংসদদের নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
ধর্মীয় মেরুকরণের পথ
অসমের মতো বাংলা জয়ে ক্ষেত্রেও বিজেপির কিন্তু ব্রহ্মাস্ত্র ধর্মীয় মেরুকরণ।সেকারণেই বার বার জয় শ্রীরাম স্লোগান। বার বার মন্দিরে মন্দিের বিজেপি নেতাদের পুজো দেওয়া। কেউ কিন্তু একবারও কোনও মসজিদ মুখী হননি। অসমে ঠিক যেভাবে এনআরসির মাধ্যমে ভোটে জয়ের পথ প্রস্তুত করেছিল বিজেপি। বাংলাতেও ২০১৬ সাল থেকেই সেই ধর্মীয় মেরুকরণের পথ প্রস্তুত করে চলেছে তারা। ধুলাগড়ের সংঘর্ষ থেকে বসিরহাটের সংঘর্ষ একের পর এক ঘটনা তৈরি করে দিয়েছে বিজেপির মেরুকরণের পথ।
হিন্দুত্বের তাল
দুর্গাপুজো হয় না। সরস্বতী পুজো হয় না। কেবল মাত্র একটি সম্প্রদায়ের তোষণ চলছে। এরকম একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে নাড্ডারা করে গিয়েছেন। মালদহে যোগীকে নিয়ে এসে হিন্দুত্বের তাল খেলেছেন অমিত শাহরা। সেই তাস নন্দীগ্রামেও খেলা হয়েছে। বিজেপির হিন্দুত্বের তাসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে মমতা নিজেও মঞ্চে চণ্ডী পাঠ করছেন আবার ব্রাহ্মণের মেয়েকে হিন্দু ধর্ম শেখাচ্ছে বলে নিশানা করছেন। মমতা অজান্তেই কিন্তু বিরোধিতায় নামে বিজেপির হিন্দুত্বের পাশার চাল দিতে শুরু করেছেন।
সংরক্ষণ টোপ
একই ভাবে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির জন্য চাকরিতে মাহিষ্য এবং তেলিদের সংরক্ষণের কথা বলছে বিজেপি। সংখ্যালঘুদের সুবিধা পাইয়ে দিতে মমতা সরকার সংরক্ষণের নামে প্রহসন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এই সংরক্ষণ প্রতিশ্রুতেও বিজেপির সেই ধর্মীয় মেরুকরণের তাস রয়ে গিয়েছে।