রাজ চলে যেতেই অগ্নিগর্ভ হয় পরিস্থিতি
আজ বুধবার বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে যান রাজ চক্রবর্তী। আর সেই সময়ে বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে মুখোমুখি চলে আসে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। প্রথমে বচসা, এরপর হাতাহাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় কিছুটা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে রীতিমত ধন্ধুমার বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ।
প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ
ইতিমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, গুলি চালানো হয়েছে। আর গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। এমনটাই অভিযোগ। যদিও পুলিশের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, কার ওই আগ্নেয়াস্ত্র তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আক্রান্ত শুভ্রাংশু, ভাঙচুর গাড়ি
পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে তা সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় পুলিশ আধিকারিকদের। এর মধ্যেই বারাকপুরে পৌঁছন শুভ্রাংশু রায়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্যে প্রশাসনিকভবনে যান তিনি। আর সেখানে পৌঁছতে আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মুকুল পুত্রকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। এমনকি তাঁর গাড়ির ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওরকমে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তাঁকে গাড়িতে নিয়ে যান। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীদের একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানোতর
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই এই ঘটনা। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, সমস্ত সমাজবিরোধীদের জড়ো করা হয়েছিল সেখানে। আর এর ফলেই এই ঘটনা। অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, দীর্ঘদিন ধরে বারাকপুর ভয়ের পরিবেশ রাজ করছে। অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলেও এখনও আয়ত্তে নয়। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটিং।