লুক্সেমবার্গ: আর্মব্যান্ড বিতর্ক ঝেড়ে ফেলে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে গোলে ফিরলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর রোনাল্ডোর গোলের সঙ্গে সঙ্গে জয়ে ফিরল পর্তুগালও। ইউরোপিয়ান কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গোলে জয়ের পর গত ম্যাচে সার্বিয়ার কাছে ২-২ গোলে আটকে যায় ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ওই ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর একটি গোল বাতিল নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক।

পর্তুগিজ সুপারস্টারের একটি প্রয়াস গোললাইন পেরিয়ে গেলেও রেফারি বা লাইন্সম্যান সেটাকে গোল না দেওয়ায় ম্যাচ শেষ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রোনাল্ডো। হতাশায় অধিনায়কের আর্মব্যান্ড খুলে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন জুভেন্তাস তারকা। ঘটনায় তাঁকে সতর্কও করেছিলেন রেফারি। যদিও গত ম্যাচের বিতর্ক ঝেড়ে ফেলে বুধবার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে ফের গোলের সরণিতে ফিরলেন রোনাল্ডো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক গোলস্কোরার হওয়ার দৌড়ে ইরানের আল দায়েই’য়ের সঙ্গে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনলেন তিনি।

লুক্সেমবার্গের বিরুদ্ধে এদিন ১০৩তম আন্তর্জাতিক গোল করলেন ক্রিশ্চিয়ানো। অর্থাৎ, আর ৬টি গোল করলে আল দায়েই’কে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। তবে লুক্সেমবার্গের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে এদিন পিছিয়ে পড়েছিল পর্তুগাল। ম্যাচের ৩০ মিনিটে গারসন রড্রিগেজের দুরন্ত গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় লুক্সেমবার্গ। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে পেদ্রো নেতোর ক্রস থেকে হেডে গোল করে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান দিয়োগো জোটা।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল রোনাল্ডোর। জোয়াও ক্যানসেলোর লো-ক্রস থেকে চলতি বলে দুরন্ত প্লেসিং করেন জুভেন্তাস তারকা। ম্যাচে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। এরপরেও ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে সুযোগ এসেছিল রোনাল্ডোর কাছে, তবে তিন আর গোল করতে পারেননি। তবে ম্যাচ শেষের দশ মিনিট আগে কর্নার থেকে পালহিনহার ড্রপ হেড পর্তুগালের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-এ’র শীর্ষে রোনাল্ডোরা।

প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের পর পালহিনহা এদিন জানান, ‘আজারবাইজান ম্যাচটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ ওইদিন আমি প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যাপ পেয়েছিলাম। এখন প্রথম গোল পেয়ে আমি খুশি তবে আরও খুশি দল জয় পাওয়ায়।’ অন্যান্য ম্যাচে গ্রুপ-ই’তে বেলারুশকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। গ্রুপ-জি’তে লাটভিয়ার সঙ্গে থ্রিলার ম্যাচে ৩-৩ ড্র করেছে তুরস্ক। মাল্টাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ-এইচে’র শীর্ষে ক্রোয়েশিয়া।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।