আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন মিচেল মার্শ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএলে না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। যার সুবাদে ভাগ্য খুলে গেল ইংল্যান্ডের ওপেনারের।
আইপিএল নিলামে দল পাননি ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয়। অথচ নিলামের আগে তাঁকে নিয়ে অনেক দলের আগ্রহের কথা জানা গিয়েছিল। যদিও দল পাননি তিনি। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে মিচেল মার্শ জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি এ বছর আইপিএল খেলতে পারবেন না। আইপিএলে প্রথম মিচেল মার্শ সুযোগ পান ২০১০ সালে। ডেকান চার্জার্স, পুনে ওয়ারিয়র্স, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলার পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। বিগ ব্যাশে পার্থ স্কর্চার্সের হয়ে খেলার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড সফরে টি ২০ সিরিজেও অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন মার্শ। প্রথম টি ২০-তে ৪৫ রান করলেও বাকি ম্যাচগুলিতে যথাক্রনে ০, অপরাজিত ৬, ৬ ও ১০ রানে আউট হন।
অন্যদিকে, দিল্লি ক্যাপিটালস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, গুজরাট লায়ন্সের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জেসন রয়ের। তিনিও মার্শের মতোই বিগ ব্যাশে খেলেন পার্থ স্কর্চাসের হয়ে। ভারতের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে তাঁর রান ছিল যথাক্রমে ৪৯, ৪৬, ৯, ৪০ ও ০। তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিকে তাঁর রান ছিল যথাক্রমে ৪৬, ৫৫ ও ১৪। মিচেল মার্শ সরে দাঁড়ানোয় রয়কেই দলে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বেস প্রাইস ২ কোটি টাকাতে মার্শের পরিবর্ত হিসেবে ইংল্যান্ডের এই ওপেনারকে দলে নেওয়া হয়েছে। ঋদ্ধিমান সাহাকে যদি ওপেনার হিসেবে সানরাইজার্স ব্যবহার করে তবে ঋদ্ধির সঙ্গী হতে পারেন রয়। আবার এই দলে জনি বেয়ারস্টোও রয়েছেন। রয়-বেয়ারস্টো জুটিকে সাদা বলের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সেরা জুটি বলেই মনে করেন অনেকে। ফলে সেই জুটির উপরও ভরসা রাখতে পারে হায়দরাবাদের দলটি। এমনকী ডেভিড ওয়ার্নার-জেসন রয় জুটিও দেখা যেতে পারে সানরাইজার্সের। তবে রয়ের অন্তর্ভুক্তিতে একটা বিষয় পরিষ্কার, শুরু থেকে ঝড় তুলতে সানরাইজার্সের বেশ কয়েকটি বিকল্প হাতে রইল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ : ১১ এপ্রিল- কলকাতা নাইট রাইডার্স, ১৪ এপ্রিল- রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ১৭ এপ্রিল- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ২১ এপ্রিল- পঞ্জাব কিংস (বিকেল সাড়ে ৩টে), ২৫ এপ্রিল- দিল্লি ক্যাপিটালস, ২৮ এপ্রিল- চেন্নাই সুপার কিংস, ২ মে- রাজস্থান রয়্যালস (বিকেল সাড়ে ৩টে), ৪ মে- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ৭ মে- চেন্নাই সুপার কিংস, ৯ মে- রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, ১৩ মে- রাজস্থান রয়্যালস, ১৭ মে- দিল্লি ক্যাপিটালস, ১৯ মে- পঞ্জাব কিংস, ২১ মে- কলকাতা নাইট রাইডার্স (বিকেল সাড়ে ৩টে)