
সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩০০
গত কয়েকদিন ধরেই করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। আজ বুধবারও সেই সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুধবার সন্ধের রিপোর্ট বলছে, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮২ জন। যা গত কয়েকমাসে রেকর্ড বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। মঙ্গলবারের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬২৮ জন। রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার নির্বাচন বঙ্গে। আর তার আগে একধাক্কায় সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ বাড়ল। ফলে এদিন রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯১৫ জন।
চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের দুই জেলায়
করোনার চোখ ক্রমশ লাল হচ্ছে বাংলার দুই জেলায়। যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায় করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। কলকাতায় একদিকে করোনা আক্রান্ত হলেন ৩৮০ জন। এর ঠিক পিছনেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ২১২ জন। আর কোনও জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে অবস্য ১০০ পার করেনি।
করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৮১১ জন
বুধবার যে রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতর দিয়েছে তাতে যথেষ্ট আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে বাংলার আকাশে। এভাবে যদি করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে তাহলে খুব শিঘ্রই ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭৭৫ জন। গত ২৪ ঘটনায় চিকিৎসাধীন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪৭২ জন। বাড়তে থাকা চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদেরও। তবে ইতিমধ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৮১১ জন। তাঁদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ী হয়েছেন ৫০৮ জন।
ভ্যাকসিনে জোর দেওয়ার কথা বলছে রাজ্য সরকার
যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আতঙ্কিত সরকারি আধিকারিকরাও। এই অবস্থায় করোনার ভ্যাকসিনে জোর দেওয়ার কথা বলছে রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ৪৫-ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন চালুর কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছে, ভোটের মরসুমে রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলে মানা হচ্ছে না করোনা বিধি। আর সেই কারনেই ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের কথাও ভাবা হচ্ছে
ভ্যাকসিনে গুরুত্বের পাশাপাশি, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারেও জোর দিচ্ছে সরকার। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের কথাও ভাবা হচ্ছে। অর্থাত্ কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে, সেই বাড়িটিকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি, আক্রান্ত ব্যক্তি কোথা থেকে সংক্রমিত হলেন, তারও উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।