কলকাতা২৪x৭: পরিসংখ্যান বলে অবসরের সময় ব্যাট হাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৬০ শতাংশ নজির নিজের কব্জায় রেখেছিলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে তিনি বিদায় জানিয়েছেন সাত বছর অতিক্রান্ত। তাই মাস্টার-ব্লাস্টারের নজির শতাংশের নিরিখে সামান্য হ্রাস পেলেও জৌলুষ ফিকে হয়নি এতটুকুও। দু’দশক আগে ঠিক আজকের দিনেই বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমনই এক নজির এসেছিল ‘ক্রিকেট ঈশ্বরে’র ব্যাট থেকে।
৩১ মার্চ, ২০০১ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান-ডে’তে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মাস্টার-ব্লাস্টার। টেস্ট ক্রিকেটে সুনীল গাভাস্করের ব্যাটে ১০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের সঙ্গে তখন পরিচিত ছিল ক্রিকেটবিশ্ব। কিন্তু ওয়ান-ডে’তে ১০ হাজার রান? প্রথম এল গাভাস্করের উত্তরসূরীর হাত ধরেই। ২০ বছর আগে আজকের দিনে ইন্দোরের নেহরু স্টেডিয়ামে টস জিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতকে প্রথমে ব্যাটিং’য়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়া। ভারতের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমেছিলেন সচিন। সঙ্গী ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়।
যদিও দ্রাবিড়ের ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে জুটিতে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন সচিন। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি দলের খাতায় যোগ করেছিল ১৯৯ রান। তেন্ডুলকর ওই ম্যাচে একাই খেলেছিলেন ১৩৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। আর ১৩৯ রান করার পথেই ওয়ান-ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। কেরিয়ারের ২৫৯তম ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মুম্বইকার ব্যাটসম্যান। সচিন-ধামাকায় ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৯৯ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করেছিল টিম ইন্ডিয়া।
জবাবে ভারতীয় বোলারদের দাপটে সেই অর্থে কোনও লড়াই ছুঁড়ে দিতে পারেনি অজি ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাজ কঠিন করে তুলেছিলেন অজিত আগরকর-হরভজন সিংরা। অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং’কে দুরমুশ করতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন এই দুই ভারতীয় বোলারই। ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন দু’জনে। মাত্র ৩৫.৫ ওভারে মাত্র ১৮১ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ২টি উইকেট ছিল জাভাগাল শ্রীনাথের ঝুলিতে। সবমিলিয়ে মাস্টার-ব্লাস্টারের মাইলস্টোন ছোঁয়ার ম্যাচে মূলত তাঁর ব্যাটেই ইন্দোরে স্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। যদিও পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শেষ অবধি ২-৩ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। কিন্তু এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ লিড নিয়েছিল সৌরভের ভারত।
পরবর্তীতে ২০০৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটেও ১০ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। টেস্ট, ওয়ান-ডে এবং একমাত্র টি-২০ ম্যাচ মিলিয়ে কেরিয়ারে সর্বমোট ৩৪,৩৫৭ রান সংগ্রহ করে কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন মাস্টার-ব্লাস্টার। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বমোট রান সংগ্রহের নিরিখে দ্বিতীয়স্থানে থাকা কুমার সঙ্গাকারার চেয়ে ৬ হাজার রানেরও বেশি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.