বর্ধমান: দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে হেফাজতে নিল পুলিশ। অভিযুক্ত শিবলাল কিস্কু, অর্জুন সরেন, লখীন্দর হাঁসদা, সোমনাথ বাস্কে ও সুকল হাঁসদাকে মঙ্গলবার বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করা হয়।

ধৃতদের বাড়ি আউশগ্রাম থানার শুকাডাঙায়। সোমবার দুপুরে আউশগ্রাম থানার রাণিগঞ্জ এলাকা থেকে পুলিস তাদের গ্রেফতার করে।

দুই কিশোরীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে নির্বাচনের মাঝে সরগরম পূর্ব বর্ধমান জেলা। অসুস্থ দুই কিশোরী বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা ভালো আছে বলে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনার পুনির্নর্মাণ করতে শিবনাথ, অর্জুন, লখীন্দর ও সুকলকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ৪ জনকে ৭ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন পকসো আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নন্দন দেব বর্মণ।

ধৃতদের মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ জানিয়েছে, শুকাডাঙার ওই দুই কিশোরী রবিবার বিকালে বাড়ির কিছুটা দূরে খেলছিল। সন্ধ্যা নাগাদ ওই ৫ জন তাদের জোর করে একটি মাঠে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। চিৎকার করলে তাদের খুনের হুমকি দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনকে জানায় নির্যাতিতারা।

এরপর পরিবারের লোকজন তাদের বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এক নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও পকসো অ্যাক্টের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই কিশোরীর বাড়িও শোকাডাঙায়। তারা আউশগ্রামের একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। অন্যান্য দিনের মতো রবিবার বিকালেও আরও কয়েকজনের সঙ্গে গ্রাম লাগোয়া বনদফতরের বাগানে ঘুরতে যায় ওই দুই কিশোরী। সন্ধ্যা নামার মুখে অভিযুক্তরা তাদের কাছে আসে। সাইকেলে কিশোরীদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাদের কথায় বিশ্বাস করে দুই কিশোরী সাইকেলে চেপে পড়ে। কিছুটা যাওয়ার পরই দুই কিশোরীকে একটি নির্জন পুকুরের পাড়ে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন ধর্ষণ করে। বাকিরা পাহারা দিচ্ছিল। ভোটের মুখে এই গণধর্ষণের ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। বিরোধীরা এনিয়ে সরকারের সমালোচনায় সরব।

বিজেপির স্থানীয় নোনা ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার। সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মণ্ডল বলেন, এই ঘটনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। তৃণমূলের প্রশ্রয় ছাড়া এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না।

তবে আউশগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি টগর শেখ বলেন, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। অযথা এনিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে। পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ৫ অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণের ধারার কেস রুজু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।