নয়াদিল্লি : ৩০ বছর মুখ খুলতে পারেন নি।কথা বলা তো দূর তিনি খেতেও পারতেন না। গত তিরিশ বছর তরল পানীয় খেয়েই বেঁচেছিলেন দিল্লির বাসিন্দা আস্থা মঙ্গিয়া। অবশেষে দিল্লির শ্রী গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্রচেষ্টায় মুখ খুলতে পারলেন তিনি। বর্তমানে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আস্থা মঙ্গিয়া, জন্মগত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি এবং ফেব্রুয়ারিতে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
গত 30 বছর ধরে অদ্ভুত রোগে ভুগছিলেন দিল্লির এই বাসিন্দা। আস্থার চোয়ালের হাড়টি তার মুখের উভয় দিক থেকে তার মাথার খুলির হাড়ের সাথে সংযুক্ত ছিল, যার কারণে তিনি কখনও মুখ খুলতে পারেননি এবং কেবল তরল পানীয় খেয়েই বেঁচে ছিলেন।
রোগীর পরিবার জানায় যে, মুখ খুলতে না পারায় আস্থার সমস্ত দাঁত ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে থাকে।রোগীর অবস্থা গুরুতর হতে থাকে এবং কোনও হাসপাতাল তার অপারেশন করতে রাজি ছিল না। স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ রাজীব আহুজার সঙ্গে কথা বলার আগে এই রোগী এবং তার পরিবার ভারত, দুবাই এবং যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন।সকলেই তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো।
ডাঃ রাজীব আহুজা জানিয়েছেন, “আমরা যখন রোগীকে দেখি, আমরা পরিবারকে বলেছিলাম যে সার্জারি খুব জটিল এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে এমনকি অপারেশন টেবিলে মৃত্যুও হতে পারে। আমরা প্লাস্টিক সার্জারি, ভাস্কুলার সার্জারি এবং রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা একটি দল গঠন করি এবং অনেক বিবেচনার পরে এই জটিল অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিই। ”
অপারেশনের তিন সপ্তাহ আগে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছিল, রক্তে ভরা শিরাগুলি সামান্য সঙ্কুচিত করার জন্য রোগীর মুখে বিশেষ ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়েছিল।অবশেষে 2021 সালের ২০ ই মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রথমে, ডাক্তাররা ধীরে ধীরে শিরার উপরে টিউমারটির অপারেশন করে। তারপর ডান চোয়াল এবং পরে বাম চোয়ালে অপারেশন করা হয়। যদি সামান্যতম ভুল করেও শিরা কেটে যেত, তবে অপারেশন থিয়েটারে রোগী মারা যেতে পারতো।
প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার অপারেশনের পর আস্থার মুখ ২.৫সেমি খোলা সম্ভব হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পাঁচ দিন পরে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আস্থা 3 সেন্টিমিটার পর্যন্ত মুখ খুলতে সক্ষম। অস্ত্রপ্রচারের সাফল্যের পর আস্থা যেন দ্বিতীয় জীবন পেলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.