কলকাতা: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই রাজ্যজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলিতেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। সোমবার মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল তিন বাংলাদেশি ও এক ভারতীয়। চারজনকেই গ্রেফতার করে বিএসএফ। বিএসএফ-এর ৭৮ নং ব্যাটেলিয়ন ওই চারজনকে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর ধৃত তিন বাংলাদেশি জানিয়েছেন, ভারতীয় ওই ব্যক্তিই তাঁদের এদেশে ঢোকায় সাহায্য করেছিল। এদেশে শ্রমিকের কাজ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে তাঁদের আনা হয়েছিল। বিবিৃতি দিয়ে বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা এক ভারতীয়ের সাহায্যে এদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিষয়টি নজরে আসতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত তিন বাংলাদেশি হলেন, আনারুল শেখ, আলআমিন শেখ ও কোনকান শেখ। বাদশাহ শেখ নামে এক ভারতীয় নাগরিক তাদের বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢোকায় সাহায্য করেছিল।
বিএসএফ ওই চারজনকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জেরা সেরে নেয়। টিক কী কারণে তারা এদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, তা জানার চেষ্টা হয়। তাদের ভারতে ঢোকার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা ধৃতদের জেরায় সেব্যাপারেও জানার চেষ্টা করেন বিএসএফ-এর অফিসাররা। পরে ওই চারজনকেই রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এবার পুলিই ধৃতদের ব্যাপারে যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ করবে। বিএসএফ-এর ব্যাটেলিয়নের কমান্ড্যান্ট বিজয় কুমার সিং বলেন, ‘‘বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং মানব পাচার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেই কড়া পদক্ষেপ করছে বিএসএফ। অনেকে এই অপরাধ করতে গিয়ে ধরা পড়ছেন, অনেকের শাস্তিও হচ্ছে।’’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে এবার আট দফায় ভোট। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রথম পর্বের নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে সাত পর্বের ভোট। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। ঠিক তেমনি সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকায় জনসংযোগ আরও বাড়াতে সচেষ্ট জওয়ানরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.