শেষবার রাজ্যে এসেছিলেন ২৪ মার্চ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেষবার প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন ২৪ মার্চ। সেই সভায় তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। পরে তিনি ওইদিনের সভার ভিডিও নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন মাদী। সেখানে তিনি বলেছিলেন, কাঁথিতে তিনি যা দেখেছেন, তা সারা পশ্চিমবঙ্গের ছবি। তিনি বলেছিলেন রাজ্যে তৃণমূলের বাহুবলের রাজনীতি আর কাজ করছে না। বিজেপি রাজ্যে নিয়ম ভিত্তিক, উন্নয়নের সরকারের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
বাঁকুড়ার সভা থেকেও আক্রমণ
২১ মার্চ বাঁকুড়ার সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২ মে দিদি যাচ্ছেনই। বাংলায় আসল পরিবর্তন আসছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন বিজেপি চলে স্কিমে আর তৃণমূল স্ক্যামে। লোকসভার মতো বিধানসভাতেও যেন তাঁকে আশীর্বাদ করা হয়। সভার ভিড় দেখে তিনি বলেছিলেন, যেন ব্রিগেডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা হচ্ছে।
নন্দীগ্রামে শেষ দিনের প্রচারে অমিত শাহ, মিঠুন চক্রবর্তী
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে এবারের মতো প্রচারের শেষ দিন। এই দিনে নন্দীগ্রামে প্রচারে যাচ্ছেন অমিত শাহ এবং মিঠুন চক্রবর্তী। একদিকে অমিত শাহ যেমন সভা করবেন, অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তী বিকেলে নামবেন রোড শোতে। অন্যদিকে বেলা ১১ টা নাগাদ বাঙাবেড়ার শহিদ বেদি থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার হুইল চেয়ারে বসেই দীর্ঘ আট কিমি পথে প্রচারে অংশ নেন তিনি। এরপর বেলা ১ টায় সোনাচূড়া, দুপুর ২ টোয় ভেকুটিয়া এবং ৩ টেয় টেঙ্গুয়ায় সভা করবেন তিনি।
১ এপ্রিল থেকে ১৫ টি সভা মোদীর
১ এপ্রিল হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৫ টি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। পরবর্তী সময়ে আরামবাগ, কোচবিহার, সোনারপুর, শিলিগুড়ি, কল্যাণী, বর্ধমান, বারাসত, কৃষ্ণনগর, গঙ্গারামপুর, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, মালদহ এবং দক্ষিণ কলকাতায় সভা করবেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কলকাতায় রোড শো করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।